এই মসজিদটির অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে একটি ছাদের গম্বুজের নিচে বিশাল প্রার্থনা ঘর। গৌড়ের অন্যান্য স্থাপত্যের মতই বিখ্যাত এই মসজিদটির রয়েছে ইতিহাস। পুরাতত্ত্ব বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় ঐতিহ্য মতে এই মসজিদটি লোটন বাইজি অর্থাৎ নাচের মেয়ে দ্বারা নির্মিত করা হয়েছিল। তবে এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন মালদহের ইতিহাসবিদরা।
advertisement
ইতিহাস গবেষক এম আতাউল্লাহর মতে, গৌড় ছিল প্রাচীন বাংলার বাণিজ্য ক্ষেত্র। সেই সময় সে এলাকাতেই রেশম সুতো সহ একাধিক রকম বাণিজ্য হত। সেখানেই ছিল অন্যান্য শিল্প কারখানার পাশাপাশি সুতো তৈরীর কারখানা। সে কারখানায় সুতো লাটানো বা সুতো ভরার কাজ করতেন কারিগররা। সেই কারিগরদের সুবিধার্থে প্রার্থনা জন্য এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়।
আরও পড়ুন: Durga Puja 2025: দুর্গাপুজোর নির্ঘণ্ট প্রকাশ বেলুড় মঠের, জানুন কুমারী পুজো থেকে সন্ধি পুজোর সময়
সেই থেকেই সুতো লাটানো কারিগরদের নাম থেকে এই মসজিদটির নামকরণ পরিচিতি পায়। তবে কোন লোটন বাইজি বা নর্তুকী নয় সুতো লাটান কারিগরের পরিচয় থেকেই এই মসজিদটির নামকরণ বলে দাবি ইতিহাস গবেষক এম আতাউল্লাহর।
প্রাচীন বাংলার রাজধানী নগরী গৌড়ের ধ্বংসাবশেষ অংশগুলির ইতিহাসকে আজও গবেষকরা বর্ণনা করছেন পরিচয় সন্ধানে। বহু স্থাপত্যের ইতিহাসের তথ্য জানা গেলেও আজও অসম্পূর্ণ গৌড়ের একাধিক ইতিহাস।