তবে আসন্ন লোকসভা ভোটে এই হোম স্টে মালিকদের কী দাবি? তারা কী চান। দার্জিলিং-এর হোম স্টের মালিক অনুপ মুখিয়া বলেন, ‘‘এখন পাহাড়ে মানুষ ঘুরতে এলে হোমস্টেতে থাকতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। কারণ একটা ঘরোয়া পরিবেশের মধ্যে তারা থাকতে পারে। যেটা হোটেল বা লজে কখনো সম্ভব না। এছাড়াও ঘরোয়া খাবার-দাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।’’
advertisement
আরও পড়ুন: কপালে গেরুয়া তিলক, হাতে ডমরু! মনোনয়ন জমা দেওয়ার শোভাযাত্রাতেও তাক লাগালেন দিলীপ ঘোষ
তিনি আরও বলেন, “সব মিলিয়ে একেক দিনের প্রতি জন হিসেবে ১২০০-১৩০০ টাকা করে নেওয়া হয়। দার্জিলিং এই মুহূর্তে অনেক হোমস্টে রয়েছে। তবে লোকসভা ভোটে আমাদের দাবি দার্জিলিং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন গড়ে তোলা যাতে পর্যটকরা আরও দার্জিলিং মুখী হয়ে ওঠেন।”
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গ এবং সিকিম জুড়ে মোট ১২ হাজার হোমস্টে রয়েছে এবং সবটাই সরকারি অনুমোদিত। দার্জিলিং, কালিম্পং, ডুয়ার্স-সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় এখন প্রচুর হোম স্টে রয়েছে। গোটা ভারতের মধ্যে সবথেকে বেশি হোমস্টে রয়েছে কালিম্পং জেলায়। এই জেলায় মোট হোমস্টের সংখ্যা ৩,৩৩৮। তবে দার্জিলিং কালিম্পং মিলে সরকার অনুমোদিত হোমস্টের সংখ্যা ১৮০০।
ইকো ট্যুরিজম চেয়ারম্যান রাজ বসু বলেন, ‘‘পাহাড়ের পর্যটনের ক্ষেত্রে হোম স্টে একটা বিশেষ অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই হোমস্টের মাধ্যমে পাহাড়ি গ্রামের মহিলারা স্বনির্ভর হচ্ছেন। অরুণাচল স্থিতি ভ্যালি থেকে প্রচুর মানুষ এখন দার্জিলিং কালিম্পং হোমস্টে কাভাবে পরিচালনা করা হয় সেগুলি শিখতেও আসছেন।’’
অনির্বাণ রায়