ডুয়ার্সের সবুজের বুকে আবার দেখা মিলল লেপার্ডের। জলপাইগুড়ির আইভিল চা বাগানে সম্প্রতি এক পর্যটকের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এক পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘের একাধিক মনকাড়া ভঙ্গি। বিকেলবেলা গাড়ি নিয়ে বাগান পেরোনোর সময় আচমকা পর্যটকের চোখে পড়ে, রাস্তার ধার ঘেঁষে থাকা চা পাতার ঝোপ থেকে এক লেপার্ড উঁকি দিচ্ছে। গাড়ির আলোয় কখনও সামনে আসে, কখনও মিলিয়ে যায় সবুজ পাতার আড়ালে। মুহূর্তেই এই ভিডিও ও ছবি ভাইরাল হয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
advertisement
আরও পড়ুন: আদৌ PF জমা পড়ছে তো অ্যাকাউন্টে? কত টাকা রয়েছে, যাবতীয় তথ্য এখন হাতের মুঠোয়, জানুন এক ক্লিকে
বাঘের দুষ্টুমিতে আনন্দ পেলেও মনে ভয় নিয়েই ওই মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দি করেছেন ওই পর্যটক। এই ঘটনার পর পরিবেশপ্রেমীদের একাংশের তরফে আবার উঠে এসেছে পুরনো প্রশ্ন – ডুয়ার্সে কি বেড়েছে লেপার্ডের সংখ্যা? বন দফতরের মতে, জঙ্গল ও চা বাগানের সীমানা ঘেঁষে থাকা এই এলাকাগুলোতে এমন দৃশ্য নতুন কিছু নয়। তবে সাম্প্রতিককালে লেপার্ড ও মানুষের সংঘর্ষের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় চিন্তা বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে। চা শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়েছে আতঙ্ক—বাগানে কাজ করতে গিয়েই যদি মুখোমুখি হতে হয় এই বন্য প্রাণীর! পর্যটকদের কাছে এই মুহূর্ত রোমাঞ্চকর হলেও বন দফতর কিন্তু বেশ তৎপর।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তারা জানিয়েছে, ওই চা বাগানে একটি খাঁচা বসানোর পরিকল্পনা চলছে যাতে লেপার্ডটিকে ধরা যায় নিরাপদভাবে এবং তাকে আবার তার স্বাভাবিক বাসস্থানে ফিরিয়ে দেওয়া যায়। এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে আবারও স্পষ্ট, প্রকৃতি ও মানুষের সহাবস্থান সহজ নয়। একদিকে চা বাগান কেন্দ্রিক জীবিকা, অন্যদিকে বন্যপ্রাণের স্বাভাবিক চলাফেরা—এই দুইয়ের মাঝে দরকার সংবেদনশীলতা এবং সঠিক পদক্ষেপ। তবে এর মধ্যেও মানুষের নিরাপত্তা এবং বন্যপ্রাণীর সুরক্ষার মাঝে একটা সূক্ষ্ম সেতু খুঁজে পাওয়াটাই বড় চ্যালেঞ্জ।
সুরজিৎ দে





