এ বিষয়ে জলপাইগুড়ির সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত কুমার রায় জানান, কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন তিনি। এরপর কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নিলাম কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে, যেখানে স্পষ্টভাবে নিলাম কেন্দ্র চালুর বিষয়টি জানানো হয়েছে। চিঠি হাতে পাওয়ার পরই প্রশাসনিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আগামী ৩ মার্চ চা-শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী, ক্ষুদ্র চা-চাষি ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠক করবেন নিলাম কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। আগামী ৫ মার্চ শুরু হয়ে যাবে কাজের প্রস্তুতি এবং ১০ মার্চ চলবে নিলামের মহড়া। দীর্ঘ ১০ বছর বন্ধ থাকার পর আবার চালু হতে চলা এই নিলাম কেন্দ্রকে ঘিরে চা-শিল্প মহলে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: রাতে ট্রেনে চেপে ভোরেই নামুন কলকাতায়, NJP নতুন ট্রেন পাবলিকের চাহিদায়, কোথায় কোথায় থামবে
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নিলাম কেন্দ্র এক্সিকিউটিভ কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান পুরজিৎ বক্সিগুপ্ত বলেন, “টি বোর্ডের পক্ষ থেকে আজ আনুষ্ঠানিক চিঠি এসেছে। এটি আমাদের দীর্ঘ প্রচেষ্টার ফল।” জলপাইগুড়ি জেলা উত্তরবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চা উৎপাদনকারী এলাকা। তবুও ২০১৪ সালের অগাস্টে সালে কাঁচামালের অর্থাৎ চা পাতার যোগানের অভাবে এই নিলাম কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। তবে এবার নতুন উদ্যমে তা চালু হতে চলেছে। জেলার ক্ষুদ্র চা-চাষি সংগঠনের সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “নিলাম কেন্দ্র ফের চালু হওয়ায় আমরা দারুণ খুশি। এতে চাষিরা লাভবান হবেন।” জলপাইগুড়ির চা-শিল্পের ইতিহাসে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সুরজিৎ দে





