ডুয়ার্সের জঙ্গল খোলার পর কেটে গিয়েছে দু’মাসেরও বেশি সময়। তবে এখনও বন্ধ রয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের চুনিয়ায় জঙ্গল সাফারি। যেখানে দুর্যোগ কাটিয়ে ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে জলদাপাড়া।পুনরায় শুরু হয়েছে সাফারি। সেখানে দুর্যোগের আঁচ সেভাবে না পড়ার পরও বন্ধ রয়েছে চুনিয়ায় জঙ্গল সাফারি। ফলে সাফারি করতে না পারায় মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে পর্যটকেরা বলে দাবি পর্যটন ব্যবসায়ীদের। তাদের কথায়, সম্প্রতি বন্যার কবলে পড়েছে উত্তরবঙ্গের একাধিক এলাকা।তবে জয়ন্তী ও বক্সার জঙ্গলে তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি।তবুও দুর্যোগের আগে থেকে রাস্তার অবস্থা বেহাল বলে এখনও পর্যন্ত বন্ধ চুনিয়া সাফারি। দু’মাস হলেও তা এখনও ঠিক হয়নি।
advertisement
জয়ন্তী নদী পার করে বক্সার জঙ্গল ঘেরা এই চুনিয়া সাফারি পর্যটকদের অত্যন্ত পছন্দের বলে দাবি গাইড এবং পর্যটন ব্যবসায়ীদের।জঙ্গলের রুটে দেড় ঘণ্টা ধরে হয় সাফারি। পর্যটন ব্যবসায়ী জগদীশ ওঁরাও জানান,’ এই চুনিয়া সাফারির মাঝে জঙ্গলের পাশেই রয়েছে চুনিয়া ঝোরা এবং চা বাগানও। বর্তমানে অনেক লেপার্ড এই চা বাগানে আশ্রয় নিয়েছে। ফলে সাফারি চলাকালীন ওয়াচ টাওয়ার থেকে দেখা মেলে তাঁদের। এছাড়া যে কোনও মুহূর্তে দেখা মেলে হাতিরও।”
আরও পড়ুন : আজ অঘ্রাণের অমাবস্যা! চরম আর্থিক ক্ষতি! বড় লোকসান! অপমানের মুখোমুখি এই ৫ রাশি
দু’বছর আগে অন্যত্র স্থানান্তর হওয়া ভুটিয়াবস্তি গ্রাম এখন বন্যপ্রাণীদের অবাধ বিচরণভূমি।আর এর উপর দিয়েই চলে এই সাফারি। সেখানেও রয়েছে একটি ওয়াচ টাওয়ার ও জলাশয়। যেখানে জল পান করতে আসে বাইসন, হরিণ-সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীও।ফলে তাদেরও দেখা মেলে সেখানে। যে কারণে এই চুনিয়া সাফারি পর্যটকদের এতটা পছন্দের বলে দাবি পর্যটন ব্যবসায়ীদের।তবে জঙ্গল খোলার প্রায় দেড় মাস পরেও তা চালু না হওয়ায় মনভার নিয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে পর্যটকদের। যার কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে পর্যটন ব্যবসা। বক্সা জঙ্গলের গাইডদের এক কথা, খুলে দেওয়া হোক চুনিয়া জঙ্গলের রুট।