স্বাধীনতার পরেও বেশ কিছুদিন এই রুটেই ট্রেনটি যাতায়াত করত। তবে স্বাধীনতার পরবর্তিতে অনেক কিছুই পাল্টায়। উন্নত হয় প্রযুক্তি, তৈরী হয় ব্রিজ। ১৯৬৫ এর ফারাক্কা ব্যারেজ নির্মাণ ও ১৯৭১ তে জনসাধারণের জন্য তা উন্মুক্ত করা হলে সেই দার্জিলিং মেল চলতে শুরু নতুন রুটে। কিন্তু ২০২২ সালে পুনরায় ট্রেনটি হলদিবাড়ি স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয় এবং উপকৃত হয় হলদিবাড়ি, জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন যাত্রীরা ।
advertisement
ট্রেনটির যে ঐতিহাসিক রুট সেই রুটের হলদিবাড়ি স্টেশনে দার্জিলিং মেলের পুনরায় প্রত্যাবর্তন যেমন এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের ইতিহাসের স্মৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল তেমনি হলদিবাড়ি থেকে কলকাতা যাওয়ার একটা দৈনিক ট্রেন পাওয়ায় যাত্রীদের কিছুটা হলেও দুর্ভোগ কমেছিল। হলদিবাড়ি থেকে তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস আগে চললেও তা এখন তুলে নেওয়া হয়েছে। ত্রি-সাপ্তাহিক ইন্টার্সিটি এক্সপ্রেস বা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস সপ্তাহে তিন দিন যায়, তিন দিন আসে । ফলে হলদিবাড়ি সংলগ্ন এলাকার যাত্রীদের এবং জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন একাংশ যাত্রীদের প্রতিদিনের কলকাতা যাত্রার একমাত্র ট্রেন হল এই দার্জিলিং মেল।
ফলে এই ট্রেন পুনরায় শিলিগুড়ি তে নিয়ে গেলে আবার যে বিতর্ক শুরু হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে, আপাতত রেলের এই সিদ্ধান্ত ‘ঠান্ডা ঘরে’। জানা যাচ্ছে মূলত নিউ জলপাইগুড়ি জংশন থেকে ঠাকুরগঞ্জ বা বাগডোগরা রুটে ডাবল লাইন না থাকার জন্যই দার্জিলিং মেল আপাতত ফিরছে না শিলিগুড়ি জংশনে। তবে দার্জিলিং মেলের পুনরায় শিলিগুড়িতে প্রত্যাবর্তনের কথা উঠতেই একদিকে যেমন আনন্দ তেমনি একদিকে আবারও দুর্ভোগের আশঙ্কা।দার্জিলিং মেল আবার কি চলতে শুরু করবে দার্জিলিং জেলা থেকেই ? বিভিন্ন জায়গায় এই সংবাদ উঠে আসতে জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায় জানান, কে বা কারা রটনা রটাচ্ছে এই ধরনের খবর আমার জানা নেই। এখন পর্যন্ত এই সমস্ত কিছুই আমি জানিনা।
সুরজিৎ দে