একটু বাতাস এবং মেঘ বৃষ্টির সাড়া পেলেই আতঙ্কিত হয়ে ঘর থেকে বের হয়ে দেখছেন আকাশের দিকে চেয়ে। হঠাৎ বৃষ্টি নামলেই বিপদ। অস্থায়ী ছাউনির নীচে ভয় আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীদের। এরই মধ্যে এবার রাজ্য সরকারের ঘোষণা মত প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে মালদহ জেলায় নতুন বাঁধ। বাঁধ নির্মাণ কাজের সূচনা হয়েছে মালদহের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কামালতীপুর গ্রাম থেকে। বাঁধ টেকসই হলে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে। স্থায়ী সমাধান হলে শান্তিতে থাকতে পারবেন তারা বলে জানান গ্রামবাসীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: গাছ থেকেই প্যাকেট হয়ে যাচ্ছে আম! নয়া প্রযুক্তিতে বিদেশের জন্য তৈরি হচ্ছে মালদার আম
মালদহের অধিকাংশ এলাকা গঙ্গা এবং ফুলাহার নদী তীরবর্তী। ফি বছর জেলায় ভাঙনের দাপট দেখা দেয়। দাবি ওঠে স্থায়ী সমাধানের। প্রায় কয়েক কিলোমিটার দূর অব্দি বসত ভিটে এবং চাষ জমি তলিয়েছে গঙ্গা গর্ভে। গঙ্গার তলায় বিলীন হয়েছে একাধিক গ্রাম। এমনই ভাবে একাধিক গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র সরে গিয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা। বর্তমানে সেখানেও গঙ্গা নদীর জল গিলে ফেলছে তাদের ভিটেমাটি। তাই তারা গঙ্গা বাঁধের সাথে বসবাসের জন্য ভিটেমাটি এবং বাড়ির দাবী তুলেছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিধায়িকা সাবিত্রী মিত্র জানান, “গঙ্গা ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মত প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মানিকচক ব্লকের ভুতনি, গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সহ একাধিক গঙ্গা নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন রোধ নির্মাণ কাজ চলবে। আশা করছি খুব শীগ্রই কাজ সম্পন্ন হবে। এতে শান্তিতে ঘুমতে পারবেন গঙ্গা তীরবর্তী বাসিন্দারা।” ফি বছরই মালদহ জেলার কালিয়াচক, মানিকচক ও রতুয়া এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দেয়। এখন দেখার বিষয় এই বাঁধ নির্মাণের পর কতটা স্বস্তি মিলবে জেলার গঙ্গা নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের। এবং কতটা আতঙ্ক দূর হয় তাদের।
জিএম মোমিন