বিশেষ এই সফরে এসে সন্তোষ প্রকাশ করলেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত। আগামী দিনে তাঁদের দেশের তরফ থেকে গরুমারা বনাঞ্চলের উন্নয়নে কোনও সহযোগিতা করা যায় কিনা তা নিয়েও চিন্তা ভাবনা চলছে। এমনটাই খবর বন দফতরের সূত্রে। জানা গিয়েছে, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলটি প্রথমে গরুমারা জঙ্গলের মেদলা নজর মিনারে যান। গরুমারার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া মূর্তি ও জলঢাকা নদী দেখার পাশাপাশি সেখানে থাকা কুনকি হাতিদের পর্যবেক্ষণ ও তাদের সারাদিনের বিভিন্ন কাজকর্ম সম্পর্কে বন দফতরের আধিকারিক ও মাহুতদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। এরপর গরুমারার ধুপঝোড়া এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে এসে বন দফতরের আধিকারিকরা এই প্রতিনিধি দলটিকে কুনকি হাতির পিঠে চাপিয়ে জঙ্গলের আনাচে কানাচে ঘোরান।
advertisement
আরও পড়ুন: মে দিবসের দিনই কর্মহীন ৮০০ শ্রমিক! বন্ধ হল চা বাগান
এখান থেকে ফিরে তাঁরা স্থানীয় আদিবাসীদের নৃত্য উপভোগ করেন। কথা বলেন জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যদের সঙ্গেও। ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত থিয়ারি ম্যাথিউ জানান, গরুমারা জঙ্গল ও এখানকার বন্যপ্রাণ দেখে তাঁরা যথেষ্ট আনন্দিত। উত্তরবঙ্গ বন্যপ্রাণী বিভাগের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভি জানান, গরুমারা জঙ্গল ও বন্যপ্রাণ দেখে এই প্রতিনিধি দলটি সন্তুষ্ট হয়েছে। আগামী দিনে গরুমারা উন্নয়নে সহযোগিতা করবেন বলেও আশ্বাস মিলেছে। ফ্রান্সের এই দলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ বন্যপ্রাণী বিভাগের বনপাল ভাস্কর জেভি, গরুমারা ও জলপাইগুড়ি বনবিভাগের দুই ডিএফও দ্বিজপ্রতীম সেন, বিকাশ ভি, গরুমারা সাউথ রেঞ্জের রেঞ্জার সুদীপ দে সহ বনদফতরের অন্যান্য আধিকারিকরা।
সুরজিৎ দে