দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তথা উত্তরবঙ্গের ছটি জেলার মধ্যে সবথেকে বড় মেলা হিসেবেই পরিচিত বোল্লা কালীর মেলা। এই পুজোর বিশেষত্ব হল, এখানে মায়ের ভোগে দেওয়া হয় চিনির তৈরি বাতাসা অথবা কদমা। শুক্রবার রাত থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ ভক্তরা আসবেন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। থেকে এমনকি রাজ্যের বাইরে ও বাংলাদেশ থেকেও আসেন ভক্তরা। পূর্ণার্থীরা এই পুজোয় মায়ের পছন্দের ভোগ হিসেবে নিবেদন করেন চিনির তৈরি বাতাসা।
advertisement
মেলা কমিটির হিসাব অনুযায়ী, প্রতি বছর ১০০০ থেকে ১২০০ কুইন্টাল বাতাসা বিক্রি হয় এই মেলায়। এবারেও প্রচুর ভক্তের সমাগম হবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা। তাই এখন শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি চলছে বোল্লা মেলা চত্বরে। বাতাসার পাশাপাশি নানা ধরনের ডিজাইনের কদমা, লাড্ডু-সহ নানা মিষ্টান্ন ভোগ প্রস্তুত করছেন ব্যবসায়ীরা।
বাতাসার এক কারিগর জানান, সারা বছরে তাঁরা একটাই মেলা করে। শ্যামা পুজোর পরেই বোল্লা মেলা চত্বরে আসেন। এরপরেই জোরকদমে কাজ চলতে থাকে। তবে ছটপুজোর জন্য চিনির গাড়ি আসতে কয়েকদিন দেরি করেছে। সেই ঘাটতি মিটিয়ে দিনরাত কাজ করছেন কারিগরেরা।
জানা গিয়েছে, পুজোর কয়েক দিনে কয়েক হাজার কুইন্টাল বাতাসা বিক্রি হয়। জেলা-সহ বাইরে থেকে বাতাসা বিক্রেতারা বোল্লা মেলায় পসরা সাজিয়ে বসেন। পুজোয় যে পরিমাণ বাতাসার চাহিদা থাকে, তা অন্য জায়গা থেকে একবারে নিয়ে আসা সম্ভব হয় না। তাই দিনরাত এক করে তৈরি করা হয় হরেক রকম বাতাসা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পুজোর মধ্যে অন্যতম বাতাসা ভোগের জোগান স্বাভাবিক রাখতে আগেভাগেই বোল্লায় চলে আসেন মিষ্টির কারিগররা। প্রায় একমাস আগে থেকে বোল্লায় কারখানা করে থাকেন মালদহের কারিগররা। তৈরি করছেন ভোগের বাতাসা।





