দুটি শৃঙ্গের উচ্চতা যথাক্রমে ৬২০৫ মিটার এবং ৬১৫০ মিটার। অভিযাত্রীদের মতে, এই শৃঙ্গ দুটিতে আগে কোনো অভিযাত্রী পৌঁছাতে পারেননি। ফলে এই অভিযানের সাফল্য মানেই এক নতুন অধ্যায়—এক নতুন ইতিহাস। বৃহস্পতিবার রাতে শিলিগুড়ি থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে ট্রেনে যাত্রা শুরু করেছেন চার অভিযাত্রী।
তারপর সেখান থেকে বাসে মানালি হয়ে পৌঁছবেন লাদাখে। এরপর শুরু হবে দীর্ঘ এবং প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ট্রেকিং। আগস্টের ৬ তারিখ থেকে প্রায় ১৪–১৫ দিন ধরে চলবে এই চূড়ান্ত অভিযান। অভিযানের মোট সময়কাল ২২ দিন, যেখানে শুধু যাতায়াতই নয়, মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতিও বড় চ্যালেঞ্জ।
advertisement
“এই শৃঙ্গ দুটি সম্পূর্ণ নতুন। কী ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়তে হবে, তা আগে থেকে বলা মুশকিল”—বলেছেন অভিজ্ঞ অভিযাত্রী গনেশ সাহা। অন্যদিকে কল্যাণ দেব জানিয়েছেন,”এই অভিযান সফল করতে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। অনেক ক্লাব, সংস্থা ও ব্যক্তিগত সহযোগিতা না পেলে এই অভিযান সম্ভব হতো না।” আর অভিযাত্রী কাজল কুমার দত্ত বলেন,”এই যাত্রার পরিকল্পনা গত ছয় মাস ধরেই চলছিল। প্রতিটি ধাপে আমাদের লক্ষ্য একটাই—অজানাকে জয় করা।”
আরও পড়ুনঃ IND vs ENG: ২২৪ রানে অলআউট ভারত, এবার বোলারদের হাতেই সব! ওভালে চাপ বাড়ছে গিলদের উপর
অভিযান সফল হলে, দুই শৃঙ্গে ওড়ানো হবে জাতীয় পতাকা এবং ন্যাফ-এর নিজস্ব পতাকা। সেইসঙ্গে এক অনন্য গৌরবও যুক্ত হবে বাংলার পর্বতারোহণ ইতিহাসে। এই শৃঙ্গ দুটির নিকটেই অবস্থিত লাদাখের বিখ্যাত পুগা ভ্যালি, যা স্বপ্নের মতো দৃশ্যপটে সাজানো। অভিযাত্রীরা জানান, শুধু শারীরিক সামর্থ্য নয়, মানসিক দৃঢ়তাই এই যাত্রার প্রকৃত চাবিকাঠি। এই অভিযানে শুধুমাত্র দুটি শৃঙ্গ নয়, জয় হতে চলেছে সাহস, অধ্যবসায় ও একান্ত প্রচেষ্টারও। আর সেই জয়ের সাক্ষী হতে প্রস্তুত বাংলা।
ঋত্বিক ভট্টাচার্য





