বন দফতরের আশা, ২০২২ সালের শেষ গণনায় পাওয়া ৫৫টি গন্ডারের তুলনায় এবার সংখ্যাটি বাড়বে। সাধারণ মানুষ অনেকেই জানেন না কীভাবে হয় এই গন্ডার গণনার কাজ। বনাধিকারীদের কথায়, বনের বিভিন্ন জায়গায় স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা বসানো হয়, যা গন্ডারের গতিবিধি ও উপস্থিতি রেকর্ড করে। এসব ছবি বিশ্লেষণ করেই সংখ্যার হিসাব করা হয়। বিশেষ প্রশিক্ষিত হাতির পিঠে চড়ে বনকর্মীরা গভীর জঙ্গলে ঢোকেন, যেখানে গাড়ি বা হাঁটা পথেও যাওয়া কঠিন। তারা গন্ডারের চলাচলের দাগ ও উপস্থিতি নথিভুক্ত করেন। অভিজ্ঞ বনকর্মীরা হেঁটে জঙ্গলের মাটিতে গন্ডারের খুরের ছাপ, বিষ্ঠা ও আঁচড়ের চিহ্ন পরীক্ষা করেন। এই পদ্ধতি থেকে গন্ডারের আনুমানিক সংখ্যা জানা যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: লোকাল ১৮ -এর খবরের জের, রাতে শুয়ে তারা গোনার দিন শেষ শান্তি মণ্ডলের
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এছাড়াও, যেসব এলাকায় রাস্তা রয়েছে, সেখানে বনকর্মীরা গাড়িতে করে গন্ডারের সন্ধান চালান ও গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেন। পরিবেশপ্রেমীদেরও এই শুমারির দিকে নজর রয়েছে। বন দফতরের তরফে দ্বিজপ্রতিম সেন জানিয়েছেন, “এই গণনা শুধু সংখ্যা নির্ধারণের জন্য নয়, ভবিষ্যতের সংরক্ষণ পরিকল্পনার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” গন্ডারের সংখ্যা বাড়লে তা যেমন আশার সঞ্চার করবে, তেমনই প্রকৃত তথ্য উঠে এলে সংরক্ষণে আরও দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সুরজিৎ দে





