আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য ভারতের বিকল্প খুঁজে পেলেন বাংলাদেশিরা, দলে দলে যাচ্ছেন সেই দেশে
জিটিএ প্রধান অনিত থাপার উপস্থিতিতে চা উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টি টেস্টিং ল্যাবরেটরির একটি তৈরি করা হবে ভারত-নেপাল সীমান্তে এবং আরেকটি হবে পশ্চিমবঙ্গ-অসম সীমানায়। যার জন্য প্রায় ৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করছে রাজ্য সরকার ।
advertisement
দীর্ঘদিন থেকে অভিযোগ উঠছিল, দার্জিলিং চায়ের নামে রাজ্যের খোলা বাজার তো বটেই গোটা দেশ ও বিদেশেও বিক্রি করা হচ্ছে নেপালের চা। নেপালের চায়ের গুণগতমান পরীক্ষার কোনও ব্যবস্থা না থাকায়, এর ফায়দা লুটছে নেপাল, দিনের পর দিন এমনই অভিযোগ উঠে আসছে। এতে একদিকে যেমন দার্জিলিং চায়ের নাম খারাপ হচ্ছে, অন্যদিকে মাথায় হাত পড়েছে দার্জিলিংয়ের চা ব্যবসায়ীদের। তাই চা এবার কেন্দ্রীয় সরকারের ফুড সেফটি স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার নির্ধারিত মানে পৌঁছচ্ছে কি না, তা পরীক্ষা করা হবে।
এই বিষয়ে কনফেডারেশন অফ স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “উত্তরবঙ্গে প্রতি বছর ৪০ কোটি কেজি চা উৎপাদন হয়ে থাকে। গোটা দেশের মোট উৎপাদনের ৩৫ শতাংশ চা দার্জিলিংয়ে উৎপাদন হয়। অথচ অর্গানিক এই চায়ের বদনাম করছে নেপালের চা। ১ কোটি কেজি নেপালের চা ঢুকছে ভারতে৷ কোনওরকম রাজস্ব ছাড়াই নেপালের চা ভারতে ঢুকে পড়ছে। তাই এবার অন্তত ল্যাবরেটরি হলে চায়ের গুণগত মান প্রকাশ্যে আসবে।
মকাইবাড়ি টি এস্টেটের চা বিশেষজ্ঞ লাল্টু পুরকাইতের বলেন, “দার্জিলিংয়ের চায়ের নামে নেপালের চা বিক্রি হওয়ায় দার্জিলিংয়ের চা তার ঐতিহ্য হারাচ্ছে। রাজ্যে টি টেস্টিং ল্যাবরেটরি তৈরি হলে দার্জিলিংয়ের ৮৭টি চা বাগানেরই সুবিধা হবে৷ এই টি টেস্টিং ল্যাবরেটরি তৈরি হলে দার্জিলিংয়ের চা ব্যবসায়ীদের সুবিধা হবে। নেপালের চা উৎপাদনে মূলত কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি তার গুণগত মানও অনেক নিম্ন হয়। আর মুক্ত সীমান্ত হওয়ার কারণে কোনও রকম রাজস্ব ছাড়াই নেপাল থেকে চা ভারতে ঢুকে পড়ছে । নেপালের চায়ের দাম কম হওয়ার কারণে অনেক ব্যবসায়ী মোটা লাভের আশায় নেপালের চা’কে দার্জিলিংয়ের চায়ের নামে বিক্রি করছেন । এই টি টেস্টিং ল্যাবরেটরি হলে আসল দার্জিলিং চিনতে অনেকাংশেই সুবিধা হবে এবং বাইরের চা সহজে ভারতে প্রকাশ করতে পারবে না”।