প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রাত হতেই গ্রামে প্রবেশ করছে হাতি এমনটাই দাবি বাসিন্দাদের। হাতির তান্ডবে ভাঙছে একাধিক বাসিন্দার ঘর, দোকানও। বর্তমানে হাতির আতঙ্কে ঘুম উড়েছে বাসিন্দাদের। বাসিন্দারা জানান, গতকাল রাতে এলাকার বাসিন্দা রাজু শাহের বাড়িতে হানা দেয় হাতি। ঘরে থাকা রেশন সামগ্রীর পাশাপাশি, সাবার করে নেয় তার রেশন কার্ডটিও। পাশাপাশি, এলাকার আরেক বাসিন্দা মনোজ ঘোষের বাড়িতে হানা দিয়ে তার ঘর ভেঙে রান্না ঘরে থাকা হাঁড়ির ভাতও সাবার করে হাতিটি।
advertisement
আরও পড়ুন: ফালাকাটায় ভুট্টা ক্ষেতের জালে জড়িয়ে পড়ল এক পাইথন, বিশাল সাপ দেখে এলাকায় ত্রাহি ত্রাহি
এই বিষয়ে এলাকার বাসিন্দা রাজু শাহ বলেন, “এই সরকারি রেশনের ওপরই নির্ভর আমার পরিবারের প্রায় পাঁচজন সদস্য। হাতি কার্ডটিও সাবার করায় বর্তমানে কি করব তা নিয়ে দিশেহারা আমরা।” এলাকার আরেক বাসিন্দা মনোজ ঘোষ বলেন, “প্রতিদিন রাত হতেই হাতি আসছে এলাকায় কিছুনা কিছু ক্ষতি করছে। এখনও পর্যন্ত বন দফতরের তরফে কোন ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়নি।” অন্যদিকে, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল ঘেরা হওয়া সত্ত্বেও পূর্বে এরূপ লাগাতার হাতির হানার ঘটনা এই জয়ন্তী গ্রামে ঘটেনি বলে দাবি বাসিন্দাদের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই এক সপ্তাহে প্রায় আট থেকে দশটি বাড়ি ও দোকান হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও দাবি তাদের। তবুও বন দফতরের তরফে এখনও কোন ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দারাদের। এ বিষয়ে বন দফতরের আধিকারিকেরা কোন মন্তব্য করতে না চাইলেও, রেশন কার্ডের বিষয়ে কালচিনি ফুড ইন্সপেক্টর বলেন, “ওনার কাছে তার রেশন কার্ডের নম্বর থাকলে বা আধার কার্ডের সঙ্গে রেশন কার্ডের লিঙ্ক থাকলে আমরা তাকে নতুন কার্ড তৈরি করে দেব।”
Annanya Dey






