২০১৪ সাল থেকে মঞ্চে গান, টিভি শোতে সাফল্য -সবই ছিল তাঁর। কিন্তু খেলার ছলে ছেলের সঙ্গে যুগলবন্দী যে একদিন দেশজোড়া ভাইরাল হবে, তা তিনি নিজেও ভাবেননি। বাবার রেওয়াজ চলাকালীন পাশে বসে খুদে সূর্যও গুনগুন করত। একদিন আচমকাই বাবার চোখে পড়ে সেই দৃশ্য। খেলার ছলে মোবাইল ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয় বাবা-ছেলের যুগলবন্দী। আর সেটাই বদলে দেয় ভাগ্য।
advertisement
আরও পড়ুন : কোথায় বিষাদ, কোথায় দুঃখ! এখানে তো সবে শুরু! দশমীতে বিদায় নয়, বরং বোধন হয় দেবীর
প্রথমদিকে সাড়া না মিললেও কয়েকদিনের মধ্যেই লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছে যায় ভিডিও। “মেলার গান”-এর সেই যুগলবন্দী রাতারাতি ভাইরাল হয়ে ওঠে। মানুষের প্রশংসায় আরও গান পরবর্তীতে ভাইরাল হয়। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, সূর্যের গান পৌঁছে গেছে বড় শিল্পীদের কাছেও। জনপ্রিয় গায়ক শিলাজিৎ মজুমদার তাঁর গান শেয়ার করে প্রশংসা করেছেন। আবার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও নিজের প্রোফাইলে পোস্ট করেছেন সূর্যর গাওয়া “চিরদিনই তুমি যে আমার” ভিডিও।
আরও পড়ুন : উৎসবের আলোর মাঝেও ওদের আনন্দের অভাব! বিশেষ আয়োজনে হাসি ফুটল মুখে, সঙ্গে দেদার মজা
তাতেই আরও উচ্ছ্বাস নেটপাড়ায়। গানের পাশাপাশি নাচেও দক্ষ সূর্য। বাবার গিটারের তালে তালে তার নাচও সমান জনপ্রিয়। মানুষের আবদারে বাবার সঙ্গে আরও গান গেয়ে ভিডিও প্রকাশ করছে সূর্য। প্রতিটি ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল। সূর্যর বাবা দেবজিৎ সরকার বলেন, “এত ছোট বয়সে ছেলে এতটা দূর এগোবে, তা ভাবিনি। বড় শিল্পী-অভিনেতারা যখন তার ভিডিও শেয়ার করছেন, তাতে আমি ভীষণ গর্বিত। তবে ওর ওপর কখনও চাপ দেব না। যেটা ভাল লাগবে, সেটাই করুক।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মা দেবযানী সরকারও খুশি ছেলের প্রতিভা নিয়ে। তিনি জানান, “আমরা কখনও ওকে মোবাইল দিই না। পরিবর্তে গান শুনতে দি। ও গান শুনে মনে রাখে। প্রত্যেক বাবা-মাকেই উচিত সন্তানের লুকিয়ে থাকা প্রতিভাকে খুঁজে বের করা।” খেলার ছলে শুরু হওয়া এই সুরসাধনা আজ সূর্যর পরিচয়। আড়াই বছরের এক শিশুই দেখিয়ে দিল, সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিবাচক দিক দিয়ে প্রতিভা কীভাবে পৌঁছে যেতে পারে লাখো মানুষের হৃদয়ে।