উৎসবের আলোর মাঝেও ওদের আনন্দের অভাব! বিশেষ আয়োজনে হাসি ফুটল মুখে, সঙ্গে দেদার মজা
- Published by:Nayan Ghosh
- hyperlocal
- Reported by:Sayani Sarkar
Last Updated:
Durga Puja 2025 : পুজোর আনন্দের মাঝেও কিছু বেশ কয়েকজন থেকে যায় অন্ধকারে। তেমনই বেশ কিছু শিশুকে নিয়ে বিশেষ আয়োজন বর্ধমানে। উৎসবরে আনন্দে মেতে উঠল তারাও।
বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গোৎসব। এই সময় সকলেই চান পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে। কিন্তু এই উৎসবের সময়েও এমন অনেক শিশুই থাকে,যারা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত। যাদের মাথার ওপর নেই অভিভাবকের ছায়া, নেই ভালবাসার উষ্ণতা। বর্ধমানের এক মহিলা পরিচালিত পুজোর পক্ষ থেকে তাদের জন্য করা হল বিশেষ আয়োজন। <strong>(চিত্র ও তথ্য : সায়নী সরকার)</strong>
advertisement
দুর্গাপুজো মানেই বাঙালির কাছে উৎসব, আনন্দ আর পরিবারের সঙ্গে কাটানো একরাশ সোনালী মুহূর্ত। শহর থেকে গ্রাম সর্বত্রই উৎসবের এই আনন্দধারা বয়। কিন্তু এই আনন্দের মাঝেও কিছু বেশ কয়েকজন থেকে যায় অন্ধকারে। যারা অনাথ বা দৃষ্টিহীন, যাদের মাথার উপর নেই অভিভাবকের ছত্রছায়া, তাদের কাছে পুজোর এই কোলাহল অনেক সময়ই কেবল এক দীর্ঘশ্বাসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
advertisement
advertisement
বর্ধমান সিএমএস স্কুলের প্রাক্তনীদের পক্ষ থেকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন পোশাক,জুতো। বর্ধমান ব্লাইন্ড একাডেমিতে থাকে প্রায় ৪৫ জন শিশু। তাদের মধ্যে অনেকেরই নেই পরিবার পরিজন। তাই পুজোর সময় অন্যান্যরা বাড়ি গেলেও তারা থাকে সেখানেই। বাইরে পুজোর জাঁকজমক থাকলেও তাদের মনের মধ্যে থাকে এক না পাওয়ার আক্ষেপ। তাই তাদের আনন্দ দিতেই এই বিশেষ উদ্যোগ।
advertisement
সমিতির সদস্যরা জানান, আমরা প্রতি বছরই জাঁকজমক করে পুজো করি। কিন্তু যখন দেখলাম এই উৎসবের দিনেও বহু শিশু পরিবার আর আনন্দের স্পর্শ থেকে বঞ্চিত, আমাদের মনে হল এই শিশুরা সমাজেরই অঙ্গ। আর এই উৎসবের সময় তাদের সঙ্গে থাকা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ওদের চোখে যে খুশি দেখলাম, সেটা কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করেও পাওয়া যেত না। ওদের আনন্দই আমাদের পুজোয় মায়ের শ্রেষ্ঠ আশীর্বাদ। <strong>(চিত্র ও তথ্য : সায়নী সরকার)</strong>