প্রতিমা তৈরির দায়িত্বে রয়েছেন বিশিষ্ট মৃৎশিল্পী মন্টু পাল। ইতিমধ্যেই প্রতিমার নকশা ও কাঠামো চূড়ান্ত। আগামী দু-চার দিনের মধ্যেই মৃৎশিল্পীদের হাতের ছোঁয়া পাবে প্রতিমা। উদ্যোক্তারা আশাবাদী, মহালয়ার মধ্যেই প্রতিমার গড়ার কাজ শেষ হবে। তবে আকারে এত বড় প্রতিমা হওয়ায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকবে বিশেষ নজরদারি।
প্রতিমার পাশাপাশি মণ্ডপেও থাকছে একাধিক চমক। এ বছর পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম সেরা ঢাকি হিসেবে পরিচিত মনা দাসকে নিয়ে আসা হচ্ছে এই মণ্ডপে। পুজোর ঢাকের বাদ্যি আর মনার তালমেল যে দর্শনার্থীদের অন্যরকম এক আবহ তৈরি করে দেবে, সে কথা বলাই বাহুল্য।
advertisement
আরও পড়ুন: SSC মামলায় জয় পেল রাজ্য, নতুন বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করা সব মামলা খারিজ করে দিল হাইকোর্ট!
স্বস্তিকা যুবক সংঘের পূজা কমিটির সচিব বাপ্পা পাল জানিয়েছেন, “প্রতিবারই আমরা শিলিগুড়ির পুজোপ্রেমীদের জন্য কিছু নতুন দিতে চাই। এবারের ৫১ ফুট প্রতিমা শুধু শিলিগুড়ি নয়, গোটা উত্তরবঙ্গের পুজো মানচিত্রে আমাদের আলাদা করে দেবে। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিয়ে আমরা কোনও রকম আপোস করছি না।” প্রসঙ্গত, এই পুজো মণ্ডপের একপাশেই রয়েছে রেললাইন, আর সামনের রাস্তা তুলনামূলক সরু। ফলে দুর্গোৎসবের ভিড় সামলাতে বাড়তি পুলিশি নিরাপত্তা, পর্যাপ্ত ব্যারিকেড এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেরও পরিকল্পনা চলছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৭৫,০০০ টাকার স্কলারশিপ, কী কী সুবিধা? কারা পাবেন? সময় থাকতে আবেদন করুন
পুজোর কয়েক মাস আগে থেকেই শহরের নানা প্রান্তে শোনা যাচ্ছে এই ৫১ ফুটের দুর্গার গল্প। উদ্যোক্তাদের আশা, মণ্ডপে ঢুকতেই দর্শনার্থীরা অবাক হবেন প্রতিমার বিশালতা দেখে। এমন প্রতিমা উত্তরবঙ্গে আগে দেখা যায়নি বলেই দাবি উদ্যোক্তাদের।
পুজো মানেই মণ্ডপে মণ্ডপে নতুনত্বের ছোঁয়া। আর সেই দৌড়ে শিলিগুড়ির স্বস্তিকা যুবক সংঘ যে এ বছর অন্যদের অনেকটাই পিছনে ফেলে দেবে, তাতে সন্দেহ নেই শহরবাসীর। এখন শুধু প্রতীক্ষা, মৃৎশিল্পীর নিখুঁত হাতের ছোঁয়ায় কবে মূর্তির রূপ ফুটে উঠবে, আর কবে দুর্গামাতার চরণ ছুঁতে পারবে হাজার হাজার ভক্তের ভিড়।
ঋত্বিক ভট্টাচার্য





