আধুনিক কৃষি যন্ত্রের কারণে জমিতে চারা বপন, সার স্প্রে কিংবা ফসল কাটা ইত্যাদি অনেক সহজ হয়ে গেছে। কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনও আধুনিক কৃষি মেশিনের অন্তর্ভুক্ত। এই মেশিনের সামনের অংশে লাগানো ছুরি বা কাটা দিয়ে কাটা হয় ফসল। এই মেশিন ব্যবহার করে একদিকে যেমন কম সময় ফসল তোলা হয় তেমনি এই মেশিন ব্যবহার করে শ্রম খরচ কম আসে। গ্রামগঞ্জে ফসল কাটতে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে সুদূর কোরিয়ায় আবিষ্কৃত কম্বাইন্ড হারভেস্টার।
advertisement
আরও পড়ুন: বর্ধমানে তৈরি কাঠের পুতুল এবার পাড়ি দেবে মুম্বাই
এই মেশিনের দাম প্রায় ৭ লক্ষ টাকা থেকে শুরু। তবে সরকারি বিভিন্ন ভর্তুকি ও পেয়ে যাবেন এই মেশিন কিনতে গেলে কৃষকরা। এই মেশিন দ্বারা ধান, সয়াবিন, সরিষা, গম ইত্যাদি অনেক ফসল খুব সহজ ভাবে কাটা যায়। এই মেশিন ব্যবহার করে একদিকে যেমন শ্রম খরচ কমে আসে, তেমনিকম সময়ে ফসল তোলা যায়।এই মেশিন দ্বারা কাটা ফসল বীজ উৎপাদনেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এই যন্ত্র ব্যবহারে একদিকে যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এড়িয়ে ঘরে ফসল তুলতে পারছেন কৃষকরা তেমনি অপরদিকে শ্রমিক খরচ কমে যাওয়ায় কৃষকরা পাচ্ছেন অধিক মুনাফা।
কৃষকরা জানান, আগেমাঠের ধান পাকলে কাটার জন্য দুশ্চিন্তায় থাকতে হতো । সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গ্রামে শ্রমিক খুঁজতে হত। শ্রমিক পাওয়া গেলেও মজুরি ও খরচ বেশি হওয়ায় পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়তে হতো কৃষকদের । এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে সুদূর উত্তর কোরিয়ার মেশিন প্রথম গ্রামে কিনে নিয়ে এলেনউত্তর দেবশর্মা ।উত্তর দেবশর্মার এই মেশিনে ঘন্টায় দু বিঘা জমিতে ধান কাটা যায় অনায়াসে । শুধু তাই নয় ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে সেই ধান ঝাড়াই ও বাছাই করা যায় তৎক্ষণাৎ। আগে ধান কাটতে যেখানে এক এক জন শ্রমিকের পিছনে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ হতো।
বর্তমানে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের কারণে সহজে কাজ হচ্ছে এবং খরচ ও কমে যাচ্ছে। জানা যায় আগে ধানের সব কাজ শেষ করতে একর প্রতি ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হতো। মেশিন আসার কারণে এখন একর প্রতি চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়। যার জন্য এই মেশিন ব্যবহার করে বর্তমানে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
পিয়া গুপ্তা