জেলা কোচবিহারে কাজের উদ্দেশ্যে আসা এক ধুনুরি মহম্মদ ইস্তাক জানান, “একটা সময় ছিল যখন প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই শীত পড়তেই প্রয়োজন পড়ত তাঁদের। তাইতো বংশপরম্পরায় বিহারের সমস্তিপুর, মোতিহারি, মজঃফরপুর, বেগুসরাই থেকে তাঁরা আসতেন এই জেলায়। এই কাজকে তাঁরা বলেন ‘খানদানি পেশা’। কেউ ৩০, কেউ ৪০ বছর ধরে এই কাজ করতে বিহার রাজ্য থেকে এই রাজ্যে আসছেন। ঠাকুরদার হাত ধরে বাবা এবং বাবার হাত ধরে তিনি এসেছেন এই জেলায়। তাঁর আসা যাওয়া শুরু হয়েছে প্রায় ১০ বছর আগে।”
advertisement
আরও পড়ুন: ৭ দিন নিয়ম করে এভাবেই খান আদা-হলুদ! শুষে নেবে খারাপ কোলেস্টেরল, ব্যথা-যন্ত্রণায় মুক্তি
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আরেক ধুনুরি মহম্মদ রহমত জানান, “বছর ১০-১২ আগেও শীতের মরশুমে কাজের চাপ থাকত প্রচুর। সারাদিন নাওয়া-খাওয়ার সময় পাওয়া যেত না একেবারে। এক একজন দিনে চারটে পাঁচটা পর্যন্ত লেপ তৈরি করত।” আরেকজন ধুনুরি মহম্মদ ছোটে জানান, “এখন আর আগের সেই সময় নেই। বাড়িতে বাড়িতে রেডিমেড কম্বলের ছড়াছড়ি। সস্তায় এই কম্বল দেখতেও ভাল ও সুন্দর। তাইতো আগে চার-পাঁচ মাসে যা রোজগার হত। সেই রোজগার এখন এসে ঠেকেছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায়। এই উপার্জনে ভিন রাজ্যে থেকে বাড়িতে খরচ পাঠানো দায় হয়ে দাঁড়ায়।”
আরও পড়ুন: এই চিড়িয়াখানায় এল পরিযায়ী হাঁসের প্রজাতি! দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা
যদিও আধুনিকতার যুগে আধুনিক জিনিস অনেকটাই কদর কমিয়েছে এই পেশার। এই পেশার সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ পেশা বদলও করেছেন। তবুও এখনও প্রতিবছর শীত পড়তেই একপ্রকার বাপ-দাদাদের দেখানো এই পেশার তাগিদেই নিজের মাটি ছেড়ে ভিন রাজ্যে আসেন তাঁরা। প্রতিবছর শীত পড়তেই প্রায় চারমাসের জন্য তাঁরা আসেন এই জেলায় কিছু রোজগারের আশায়। যদিও এই পেশায় লোক সংখ্যা দিন দিন কমে চলেছে। তবুও এই পেশা আঁকড়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বহু ধুনুরি।
Sarthak Pandit





