TRENDING:

Dhunuri: শীত এলেই একবারে হত ৫ মাসের ধান্দা! সময় বদলালেও 'খানদানি পেশা' ছাড়েন নি ইনারা

Last Updated:

‘খানদানি পেশা’র টানে ইনারা আজও আসেন কোচবিহারে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কোচবিহার: ইতিমধ্যেই শীত জাঁকিয়ে পড়তে শুরু করেছে। শীতের পারদ ক্রমশ নামছে বিভিন্ন জেলায়। মূলত পাহাড়ের পাদদেশে হওয়ার কারণে কোচবিহারের শীতের দাপট দক্ষিণবঙ্গের চেয়ে একটু বেশি। চলতি বছরে ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই শীতের মাত্রা অনুভব করা যাচ্ছিল জেলায়। তবে ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে সেই মাত্রা বেড়ে উঠেছে অনেকটাই। তাইতো লেপ, কম্বলের চাহিদা বেড়ে উঠেছে জেলায়। বর্তমানে একদল ভিন রাজ্যের মানুষ নিজেদের পেশার সন্ধানে আসতে শুরু করছেন জেলায়। এই মানুষেরা মূলত ধুনুরি।
advertisement

জেলা কোচবিহারে কাজের উদ্দেশ্যে আসা এক ধুনুরি মহম্মদ ইস্তাক জানান, “একটা সময় ছিল যখন প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই শীত পড়তেই প্রয়োজন পড়ত তাঁদের। তাইতো বংশপরম্পরায় বিহারের সমস্তিপুর, মোতিহারি, মজঃফরপুর, বেগুসরাই থেকে তাঁরা আসতেন এই জেলায়। এই কাজকে তাঁরা বলেন ‘খানদানি পেশা’। কেউ ৩০, কেউ ৪০ বছর ধরে এই কাজ করতে বিহার রাজ্য থেকে এই রাজ্যে আসছেন। ঠাকুরদার হাত ধরে বাবা এবং বাবার হাত ধরে তিনি এসেছেন এই জেলায়। তাঁর আসা যাওয়া শুরু হয়েছে প্রায় ১০ বছর আগে।”

advertisement

আরও পড়ুন: ৭ দিন নিয়ম করে এভাবেই খান আদা-হলুদ! শুষে নেবে খারাপ কোলেস্টেরল, ব্যথা-যন্ত্রণায় মুক্তি

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

আরেক ধুনুরি মহম্মদ রহমত জানান, “বছর ১০-১২ আগেও শীতের মরশুমে কাজের চাপ থাকত প্রচুর। সারাদিন নাওয়া-খাওয়ার সময় পাওয়া যেত না একেবারে। এক একজন দিনে চারটে পাঁচটা পর্যন্ত লেপ তৈরি করত।” আরেকজন ধুনুরি মহম্মদ ছোটে জানান, “এখন আর আগের সেই সময় নেই। বাড়িতে বাড়িতে রেডিমেড কম্বলের ছড়াছড়ি। সস্তায় এই কম্বল দেখতেও ভাল ও সুন্দর। তাইতো আগে চার-পাঁচ মাসে যা রোজগার হত। সেই রোজগার এখন এসে ঠেকেছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায়। এই উপার্জনে ভিন রাজ্যে থেকে বাড়িতে খরচ পাঠানো দায় হয়ে দাঁড়ায়।”

advertisement

আরও পড়ুন: এই চিড়িয়াখানায় এল পরিযায়ী হাঁসের প্রজাতি! দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা

যদিও আধুনিকতার যুগে আধুনিক জিনিস অনেকটাই কদর কমিয়েছে এই পেশার। এই পেশার সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ পেশা বদলও করেছেন। তবুও এখনও প্রতিবছর শীত পড়তেই একপ্রকার বাপ-দাদাদের দেখানো এই পেশার তাগিদেই নিজের মাটি ছেড়ে ভিন রাজ্যে আসেন তাঁরা। প্রতিবছর শীত পড়তেই প্রায় চারমাসের জন্য তাঁরা আসেন এই জেলায় কিছু রোজগারের আশায়। যদিও এই পেশায় লোক সংখ্যা দিন দিন কমে চলেছে। তবুও এই পেশা আঁকড়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বহু ধুনুরি।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কোনও সাধারণ কেঁচো নয়, দুর্গাপুরে টন টন ভার্মিকম্পোস্ট তৈরি হচ্ছে বিশেষ প্রজাতির কেঁচো দিয়ে
আরও দেখুন

Sarthak Pandit

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
Dhunuri: শীত এলেই একবারে হত ৫ মাসের ধান্দা! সময় বদলালেও 'খানদানি পেশা' ছাড়েন নি ইনারা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল