সাব পোস্ট মাস্টার পবন কুমার রজক স্বীকার করেছেন, “৪৩ দিন ধরে পরিষেবা বিঘ্নিত। গুরুত্বপূর্ণ গ্রাহকদের বিকল্প হিসেবে গভ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পোস্ট অফিসে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু সেটি সবার পক্ষে সম্ভব নয়।”
আরও পড়ুন: স্কুলের পিছু ছাড়ছে না হাতি! ১০ মাসে ৪ বার হানা দিল একই স্কুলে, আতঙ্কে পড়ুয়া থেকে অভিভাবকরা
advertisement
এই পোস্ট অফিসের উপর নির্ভরশীল ডেঙ্গুয়াঝাড়, আশপাশের চা বাগান এবং পাতকাটা পঞ্চায়েত এলাকার বহু মানুষ, বিশেষ করে শ্রমজীবী শ্রেণি। তারা এই ডাকঘরের মাধ্যমে রোজগারের টাকা জমা রাখেন ও প্রয়োজন পড়লে তুলেও নেন। এখন সেই সুযোগ হারিয়ে আর্থিক দুরবস্থায় পড়েছেন অনেকেই।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয় বাসিন্দা তুষার সেন জানালেন, “গত এক সপ্তাহ ধরে ঘুরছি। রেকারিং ডিপোজিটের টাকা ম্যাচিউর হয়ে গেছে, কিন্তু প্রয়োজনের সময়েও তা তুলতে পারছি না।” এদিকে ডাক বিভাগের উচ্চ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলেও এখনও পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। ইন্টারনেট সংযোগ কবে ফিরবে, তাও কেউ স্পষ্ট করে জানাতে পারছেন না। প্রযুক্তির উপর অতিনির্ভরশীল এই পরিকাঠামো প্রশ্ন তুলছে গ্রামীণ ডাক পরিষেবার প্রস্তুতি ও বিকল্প ব্যবস্থার অভাব নিয়েও। স্বাভাবিক পরিষেবা ফিরুক—এই প্রার্থনাতেই দিন গুনছেন ডেঙ্গুয়াঝাড়ের সাধারণ মানুষ।
সুরজিৎ দে





