‘এত দিন যাকে ‘দিদি’ বলে জেনেছি সে আসলে…!’ ১৪ বছরের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর জীবন আপনাকে স্তম্ভিত করবে!
8,550 ফুট উচ্চতায় অবস্থিত, ধোত্রে সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানের পাদদেশে অবস্থিত। শিলিগুড়ি থেকে 105 কিলোমিটার দূরে এবং দার্জিলিং শহর থেকে 45 কিলোমিটার দূরে পাহাড়ে ঘেরা বহু প্রাচীন এই গ্রাম।গ্রামে বসবাসকারী লোকেরা তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য অর্গানিক চাষের উপর নির্ভর করে।
advertisement
গরমে চড়চড়িয়ে বাড়তে পারে ব্লাড সুগার! কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন?ওষুধ লাগবে না, ঘরেই রয়েছে সহজ ৫ উপায়!
সিঙ্গলিলা জাতীয় উদ্যানের কোলে অবস্থিত ধোত্রে বাকি সব পাহাড়ি গ্রামের থেকে একদম আলাদা। গ্রামজুড়ে অরগ্যানিক ফসলের চাষ। বাড়ির সামনে একফালি জমিতেই চাষ হচ্ছে কপি, গাজর, মটর, বিনস। গ্রামের পথ ধরে মিনিট পাঁচেক এগিয়ে গেলেই রয়েছে আকাশ ছোঁয়া পাইনগাছের ঘন বন।
গরমে দই খাচ্ছেন? যে ভুলটা করছেন…না জানলেই ডেকে আনবেন বিপদ! দই খাওয়ার সঠিক উপায় জানুন
মেঘ, পাইন আর কাঞ্চনজঙ্ঘা নিয়েই এই ধোত্রে গ্রাম,অর্থাৎ পাইনের বনের কোলে দাঁড়িয়ে মেঘেদের দেশ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সুযোগ রয়েছে । ধোত্রেতে জনবসতি কম হাতে গোনা ৮০টি পরিবারের বাস এখানে। থাকার জায়গাও সীমিত। তবে সারা বছর জুড়েই প্রকৃতির মাঝে নিরিবিলি পরিবেশে পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই রয়েছে।
পেটে গেলেই বিষক্রিয়া! যতই মাছ ভালবাসুন…এড়িয়ে চলবেন কোন ৬ ‘মাছ’? খাওয়া বন্ধ করুন এখনই
এই প্রসঙ্গে জিটিএ-এর অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের ফিল্ড ডিরেক্টর দাওয়া শেরপা বলেন, আমরা পাহাড়ি গ্রাম ধোত্রেকে জিটিএ এলাকার মধ্যে প্রথম ‘পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন গ্রাম’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই গ্রামের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যতা সবদিক থেকে এই গ্রামকে বাকি গ্রামগুলি থেকে অনেকটাই আলাদা করে রেখেছে ,আর সব থেকে বড় জিনিস হল এই গ্রামের বাসিন্দারাই নিজেদের গ্রামকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে বেশি উদ্যোগী।
সান্দাকফু ট্র্যাকিং এর জন্যেও অনেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই ধোত্রে গ্রামের রাস্তা কি বেছে নেয় কারণ এই পথে যেমন রয়েছে নির্জনতা তেমনি আকাশছোঁয়া পাইন বন এবং মনমুগ্ধ করা রোডোডেনড্রন মনমুগ্ধ করবে আপনার।
জি টি এ পর্যটন দপ্তরের পক্ষ থেকে এই গ্রামের মুকুটে জুড়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় ভরপুর সেরা গ্রামের তকমা। আপনিও যদি পাহাড়ে গিয়ে কোন ডেসটিনেশনে পাহাড়ের কোলে কিছুটা সময় কাটাতে চান তাহলে এই ধোত্রে হতে পারে আপনার স্বর্গরাজ্য।
সুজয় ঘোষ