গরমে দই খাচ্ছেন? যে ভুলটা করছেন...না জানলেই ডেকে আনবেন বিপদ! দই খাওয়ার সঠিক উপায় জানুন

সেই রেওয়াজ এখন উঠে গিয়েছে অনেক বাঙালি বাড়ি থেকেই! গরমের দিনে দই পাতার রেওয়াজ আর কী! আগের দিন সন্ধ্যাবেলায় সাঁজা তুলে রাখা, দই পাতা, দুপুরে খাওয়ার ঠিক আগে চাকভাঙা দই পরিবেশন- এত ঝামেলার মধ্যে কেউ আর যেতে চান না জীবনযাত্রার ব্যস্ততার কারণে। তবে, গরমে দই খাওয়ার রেওয়াজ তা বলে কমেনি! বাড়িতে পাতা না হোক, কিনেই সই!

শীতের মরশুম শেষ এবং গ্রীষ্মকাল এসে গিয়েছে বলাই যায়। এই ঋতুতে লোকেরা প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার খেয়ে থাকে, যার মধ্যে একটি হল দই। লোকে গ্রীষ্মের মরশুমে দই খেতে বিশেষ পছন্দ করে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক গরমের মরশুমে দই খাওয়ার সঠিক উপায় কী।

গ্রীষ্মকালে সাধারণত এমন খাবার খাওয়া হয়ে থাকে যা শরীর ঠান্ডা করবে। এই জন্যই দইয়ের প্রতি এত টান! দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই ভাল, তবে গরমে এটি খাওয়ার সঠিক উপায় জানাটাও কিন্তু জরুরি।

দই খাওয়ার আগে এতে সামান্য জল মেশাতে হবে, কারণ দইয়ের প্রকৃতি গরম, এমন অবস্থায় জল যোগ করলে ভারসাম্য তৈরি হয় এবং দই ক্ষতিকর না হয়ে উপকারী হয়।

আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ডা. নেহা গয়াল বলেন যে, শুধুমাত্র দিনের বেলাতেই দই খাওয়া উচিত। কারণ রাতে দই খাওয়া শরীরের ক্ষতি করে।

চিনি বা জিরের গুঁড়া ইত্যাদি মিশিয়ে অনেকে দই খেতে পছন্দ করলেও বেশিরভাগ মানুষ শুধু লবণ দিয়ে দই খাওয়া পছন্দ করেন। কিন্তু, লবণ দিয়ে দই খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

কেউ যদি দই খেতে পছন্দ করেন, তাহলে দইয়ের সঙ্গে চিনি, আমলকির গুঁড়ো, মধু ইত্যাদি মিশিয়ে নিতে হবে। এতে শরীর পুষ্টিগুণে ভরবে।

দই গরম করে খেতে চাইলে এমন ভুল করা উচিত নয়। এটি শরীরের জন্য বেশ বিপজ্জনক হতে পারে।

দই খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। দই খেলে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, মিনারেল ইত্যাদি থেকে পুষ্টি পাওয়া যায়। এটি মস্তিষ্ককে শক্তি দেয়। এটি শরীরের পেশিকে শক্তি দেয় এবং হাড়কে শক্তিশালী করে।

কেউ যদি সরাসরি দই খান, তাহলে অনেক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। এতে ত্বকের সমস্যা, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা এবং শরীরে তাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই যখনই দই খাওয়া হবে, তাতে হালকা জল মেশাতে হবে এবং একেবারেই লবণ দেওয়া চলবে না।