পেটে গেলেই বিষক্রিয়া! যতই মাছ ভালবাসুন...এড়িয়ে চলবেন কোন ৬ 'মাছ'? খাওয়া বন্ধ করুন এখনই
- Published by:Tias Banerjee
- news18 bangla
Last Updated:
Toxic Fish: যতই মাছ খেতে ভালবাসেন, এড়িয়ে চলুন এই ৬ মাছ! পেটে গেলেই হতে পারে বিষক্রিয়া। জানেন কোন মাছগুলো বিষের সমান?
শুধু বাংলাতেই নয়, উত্তর ভারতেও মাছ খাওয়া বেশ জনপ্রিয়। ডাক্তাররাও মাটন ও চিকেনের বদলে বেশি পরিমাণে মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে যতই মাছ খেতে ভালবাসেন, এড়িয়ে চলুন এই ৬ মাছ! পেটে গেলেই হতে পারে বিষক্রিয়া। জানেন কোন মাছগুলো বিষের সমান?
advertisement
এই খবর মাছপ্রেমীদের হতবাক করবে! কারণ আজ আমরা এমন কিছু মাছের কথা বলব যেগুলি একেবারে বিষের মতো ক্ষতিকারক। গর্ভবতী মহিলা, স্তন্যদানকারী মা, এমনকি যাঁরা মা হতে চলেছেন— তাঁদের এই মাছগুলি এড়িয়ে চলা উচিত।
advertisement
কারণ এই মাছগুলিতে এমন বিষাক্ত উপাদান থাকে যা ভ্রূণ, শিশু এবং শিশুদের স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে সমস্যা তৈরি করে। অনলাইন স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্ল্যাটফর্ম NutriSense এই বিষয়ে তথ্য দিয়েছে। একবার জেনে গেলে, অনেক মাছ খাওয়া আপনি নিজেই বন্ধ করে দেবেন!
advertisement
⚠️ কোন মাছগুলি বিষাক্ত এবং কেন এগুলি এড়ানো উচিত? ১. বড় মাগুর মাছ--- বাজার থেকে বড় আকারের মাগুর মাছ কেনা এখনই বন্ধ করুন! বরং ছোট মাছ কিনুন। কারণ বড় মাগুরকে দ্রুত বড় করার জন্য নানা ধরনের হরমোন ইনজেকশন দেওয়া হয়, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই বিপজ্জনক রাসায়নিকগুলি শরীরে প্রবেশ করলে নানা রোগের সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি এই মাছ থেকে মারাত্মক অসুখও হতে পারে!
advertisement
২. ম্যাকারেল (Mackerel) মাছ--- অনেকেই ম্যাকারেল মাছ খেতে পছন্দ করেন, কিন্তু জানেন কি, এই মাছটিতে বিপজ্জনক মাত্রায় পারদ (mercury)থাকে? নিয়মিত ম্যাকারেল খেলে **এই পারদ শরীরে জমা হতে থাকে, যা পরে ভয়ঙ্কর রোগের কারণ হতে পারে। গবেষণা বলছে, পারদের বিষক্রিয়া থেকে **স্নায়ুর সমস্যা, কিডনির ক্ষতি এমনকি ক্যানসারও হতে পারে**! বাংলার বহু মানুষের প্রিয় মাছ এটি, কিন্তু সাবধান!
advertisement
৩. টুনা (Tuna) মাছ--- টুনা মাছ মূলত বিদেশি। এতে অত্যাধিক পারদ থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া, টুনা চাষের জন্য হরমোন ও অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। ভারতে এটি বেশ জনপ্রিয়, কিন্তু গর্ভবতী মহিলাদের টুনা মাছ একদম এড়িয়ে চলা উচিত।
advertisement
৪. পাঁকাল মাছ --- এই তৈলাক্ত মাছটিশিল্প ও কৃষিক্ষেত্রের বর্জ্য পদার্থ মিশ্রিত দূষিত জলে বেড়ে ওঠে। তাই এটি একেবারেই খাদ্যের যোগ্য নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এই মাছের পারদের পরিমাণ সহনশীল মাত্রার চেয়েও বেশি। বিশেষজ্ঞরা এই মাছ না খাওয়ার পরামর্শ দেন।
advertisement
৫. পাঙাশ (Pangas) মাছ--- এই মাছ সাধারণত বিভিন্ন কৃত্রিম চাষের পুকুরে জন্মায়, যেখানে মাছের স্বাদ ও উৎপাদন বাড়াতে নানা **রাসায়নিক সার ও বিষাক্ত কীটনাশক** ব্যবহার করা হয়। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, এই রাসায়নিকগুলি ক্যানসারের কারণ হতে পারে। তাই ডাক্তাররা পরামর্শ দেন— সুস্থ থাকতে মাছ খান, তবে পাঙাশ একদম নয়!
advertisement
৬. তেলাপিয়া (Tilapia) মাছ--- অনেকে বাজার থেকে বড় ও মোটা তেলাপিয়া মাছ কিনতে যান, কিন্তু সাবধান! তেলাপিয়াতে ক্ষতিকারক ফ্যাট বেশি থাকে, যা কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করেএবং হৃদরোগের কারণ হতে পারে। এছাড়া, যদি কারও হাঁপানি (অ্যাজমা) বা আর্থ্রাইটিস থাকে, তবে তাঁরা তেলাপিয়া মাছ না খাওয়াই ভাল।
advertisement
এই মাছগুলি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে! বাজার থেকে মাছ কেনার সময় অবশ্যই সচেতন থাকুন। চেষ্টা করুন প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা দেশীয় মাছ খেতে। রাসায়নিক ও দূষিত জলে চাষ করা মাছ খেলে বিপদ হতে পারে। তাই আজই এই বিষাক্ত মাছগুলিকে আপনার ডায়েট থেকে বাদ দিন!
advertisement