গরমে চড়চড়িয়ে বাড়তে পারে ব্লাড সুগার! কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন?ওষুধ লাগবে না, ঘরেই রয়েছে সহজ ৫ উপায়!

Last Updated:
Blood Sugar Control Tips In Summer: কানপুরের বিশিষ্ট চিকিৎসক, এমডি মেডিসিন ডাঃ কে কে কালরা, যিনি গত ২৪ বছর ধরে ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসা করছেন, তিনি জানিয়েছেন যে, গরমের দিনে শরীরে জলস্বল্পতা রক্তে শর্করার মাত্রায় প্রভাব ফেলে। কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাগবেন জেদি ব্লাড সুগার?
1/10
যাঁরা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, গরমকালে তাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা খারাপ হতে পারে। এই সময় রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে অসুবিধা হয়। গরম আবহাওয়ার সরাসরি প্রভাব রক্তে শর্করার ওপর পড়ে, যা কমিয়ে দিতে পারে তার স্বাভাবিক মাত্রা। গরমে ব্লাড সুগার নিয়ে সমস্যায় পড়লে কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন? জানুন সহজ ঘরোয়া ৫ উপায়!
যাঁরা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, গরমকালে তাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা খারাপ হতে পারে। এই সময় রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে অসুবিধা হয়। গরম আবহাওয়ার সরাসরি প্রভাব রক্তে শর্করার ওপর পড়ে, যা কমিয়ে দিতে পারে তার স্বাভাবিক মাত্রা। গরমে ব্লাড সুগার নিয়ে সমস্যায় পড়লে কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন? জানুন সহজ ঘরোয়া ৫ উপায়!
advertisement
2/10
বুঝতে হবে যে কীভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা অবনতি ঘটে এবং কীভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এর পিছনে অনেক কারণ রয়েছে, যা জানা থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সুবিধা হবে। এখানে আমরা সেই উপায়গুলির কথা বলব, যা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।
বুঝতে হবে যে কীভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা অবনতি ঘটে এবং কীভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এর পিছনে অনেক কারণ রয়েছে, যা জানা থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সুবিধা হবে। এখানে আমরা সেই উপায়গুলির কথা বলব, যা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।
advertisement
3/10
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন? কানপুরের বিশিষ্ট চিকিৎসক, এমডি মেডিসিন ডাঃ কে কে কালরা, যিনি গত ২৪ বছর ধরে ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসা করছেন, তিনি জানিয়েছেন যে, গরমের দিনে শরীরে জলস্বল্পতা রক্তে শর্করার মাত্রায় প্রভাব ফেলে।
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন? কানপুরের বিশিষ্ট চিকিৎসক, এমডি মেডিসিন ডাঃ কে কে কালরা, যিনি গত ২৪ বছর ধরে ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসা করছেন, তিনি জানিয়েছেন যে, গরমের দিনে শরীরে জলস্বল্পতা রক্তে শর্করার মাত্রায় প্রভাব ফেলে।
advertisement
4/10
শরীরে জলের অভাব হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়, যা দু’টি সমস্যা তৈরি করতে পারে— প্রথমত, জলশূন্যতা এবং দ্বিতীয়ত, রক্তে শর্করার মাত্রায় পরিবর্তন। আরও একটি কারণ হল, গরমকালে অনেকেই অতিরিক্ত চিনি খেতে শুরু করেন, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
শরীরে জলের অভাব হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়, যা দু’টি সমস্যা তৈরি করতে পারে— প্রথমত, জলশূন্যতা এবং দ্বিতীয়ত, রক্তে শর্করার মাত্রায় পরিবর্তন। আরও একটি কারণ হল, গরমকালে অনেকেই অতিরিক্ত চিনি খেতে শুরু করেন, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
advertisement
5/10
কী ভাবে গরমকালে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবেন? ১. গরমকালে প্রচুর জল পান করা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। শরীরে জলশূন্যতা হলে রক্তে শর্করার মাত্রাও কমতে পারে। এই কারণে দিনে অন্তত আট থেকে নয় গ্লাস জল পান করা উচিত। এটি অন্যান্য পেটের সমস্যাও প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠে যোগব্যায়াম ও ব্যায়াম করলে শরীর সুস্থ থাকে এবং রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কী ভাবে গরমকালে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবেন? ১. গরমকালে প্রচুর জল পান করা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। শরীরে জলশূন্যতা হলে রক্তে শর্করার মাত্রাও কমতে পারে। এই কারণে দিনে অন্তত আট থেকে নয় গ্লাস জল পান করা উচিত। এটি অন্যান্য পেটের সমস্যাও প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠে যোগব্যায়াম ও ব্যায়াম করলে শরীর সুস্থ থাকে এবং রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
advertisement
6/10
২. গরমকালে নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়াটা জরুরি। সকালের খাবার সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে, দুপুরের খাবার ১২টা থেকে ১টার মধ্যে এবং রাতের খাবার রাত ৮টার মধ্যে খেলে হজম ঠিক থাকে। সকালের খাবারে কিছু শুকনো খাবার থাকলে সারাদিনের জন্য যথেষ্ট শক্তি মেলে এবং রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২. গরমকালে নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়াটা জরুরি। সকালের খাবার সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে, দুপুরের খাবার ১২টা থেকে ১টার মধ্যে এবং রাতের খাবার রাত ৮টার মধ্যে খেলে হজম ঠিক থাকে। সকালের খাবারে কিছু শুকনো খাবার থাকলে সারাদিনের জন্য যথেষ্ট শক্তি মেলে এবং রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
advertisement
7/10
৩. গরমকালে শরীরের জন্য জল সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়। শরীর ঠান্ডা রাখতে ও সুস্থ থাকতে এই সময় রসালো ফল খাওয়া দরকার। যেমন— তরমুজ, খরমুজ, কমলালেবু, আঙুর ইত্যাদি খেলে শরীরে পর্যাপ্ত জল বজায় থাকে। এতে নানা শারীরিক সমস্যা দূর হয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩. গরমকালে শরীরের জন্য জল সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়। শরীর ঠান্ডা রাখতে ও সুস্থ থাকতে এই সময় রসালো ফল খাওয়া দরকার। যেমন— তরমুজ, খরমুজ, কমলালেবু, আঙুর ইত্যাদি খেলে শরীরে পর্যাপ্ত জল বজায় থাকে। এতে নানা শারীরিক সমস্যা দূর হয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
advertisement
8/10
৪. গরমকালে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গেলে কিছু হালকা খাবার খাওয়া জরুরি। এছাড়া, কালো লবণ বা সন্ধক লবণও খাওয়া যেতে পারে। যখন রক্তে শর্করার মাত্রা কম মনে হবে, তখন এটি খেলে উপকার হবে। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকবেন না, কারণ এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
৪. গরমকালে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গেলে কিছু হালকা খাবার খাওয়া জরুরি। এছাড়া, কালো লবণ বা সন্ধক লবণও খাওয়া যেতে পারে। যখন রক্তে শর্করার মাত্রা কম মনে হবে, তখন এটি খেলে উপকার হবে। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকবেন না, কারণ এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
advertisement
9/10
৫. তাজা ও সবুজ শাকসবজি বেশি পরিমাণে খাওয়া দরকার। সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বেশি পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খেলে নানা ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ঝিঙ্গে, করলা, কুঁদর, লাউ ইত্যাদি সবজি খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
৫. তাজা ও সবুজ শাকসবজি বেশি পরিমাণে খাওয়া দরকার। সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বেশি পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খেলে নানা ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ঝিঙ্গে, করলা, কুঁদর, লাউ ইত্যাদি সবজি খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
advertisement
10/10
### **উপসংহার** গরমের সময়ে শরীরকে সুস্থ ও ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু সহজ অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। পর্যাপ্ত জল পান, নির্দিষ্ট সময়ে খাবার গ্রহণ, রসযুক্ত ফল ও সবুজ শাকসবজি খাওয়া এবং লবণের সঠিক ব্যবহার ব্লাড সুগারের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত শরীরচর্চা ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করলে ওষুধ ছাড়াই সুগার লেভেল স্বাভাবিক রাখা সম্ভব। তাই, সামান্য সতর্কতা ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসই হতে পারে সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি।
অতএব, গরমের সময়ে শরীরকে সুস্থ ও ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু সহজ অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। পর্যাপ্ত জল পান, নির্দিষ্ট সময়ে খাবার গ্রহণ, রসযুক্ত ফল ও সবুজ শাকসবজি খাওয়া এবং লবণের সঠিক ব্যবহার ব্লাড সুগারের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত শরীরচর্চা ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করলে ওষুধ ছাড়াই সুগার লেভেল স্বাভাবিক রাখা সম্ভব। তাই, সামান্য সতর্কতা ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসই হতে পারে সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি।
advertisement
advertisement
advertisement