পর্যটন ব্যবসায়ীদের কথায় পাহাড় মুখী হয়ে যাচ্ছেন পর্যটকেরা। ধীরে ধীরে পর্যটক শূন্য হচ্ছে চিলাপাতা। বন্ধ রয়েছে সাফারির অনলাইন বুকিং, যার কারণে সমস্যায় পড়ছেন পর্যটকেরা। ফলে এই ভরা পর্যটন মরসুমেও পর্যটকদের দেখা মিলছে না চিলাপাতায়। একই ছবি কোদালবস্তি এলাকাতেও। চার শিফটে সাফারি হয় এখানে। ভোর, সকাল, দুপুর এবং বিকেল। সমস্ত অনুমতিপত্র কাউন্টার থেকে সঠিক সময়ে সংগ্রহ করতে হচ্ছে পর্যটকদের। পর্যটককে সশরীরে উপস্থিত থাকতে হচ্ছে অনুমতিপত্র সংগ্রহ করার সময়।
advertisement
আরও পড়ুন: বাঁধ হল না আজও! তুরতুরি নদীর ভয়ে বর্ষাকালের কথা ভাবতেই ঘুম উড়ছে কৃষকদের!
এক্ষেত্রে কোনরকম এজেন্টের মাধ্যমে অনুমতিপত্র সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। যা পর্যটন ব্যবসায়ীদের কাছে একটি বড় সমস্যা। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যে কোন একজন পর্যটক জিপসি সাফারির জন্য সর্বোচ্চ ছয়টি এবং হাতি সাফারির জন্য সর্বোচ্চ চারটি অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। পাশাপাশি অনুমতিপত্র সংগ্রহ করার সময় সকলের আসল সচিত্র পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে অনুমতিপত্র প্রদান করা হবে। নির্ধারিত সময়ের পর কোনরকম অনুমতি পাওয়া যাবে না। জিপসি গাড়ির ভাড়া এবং গাইডের ভাড়া বন দফতরের কাউন্টারে জমা নেওয়া হবে না। সেই ভাড়া সংক্রান্ত রসিদ পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট গাইড এবং জিপসি গাড়ির চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পর্যটন স্থলে এসেই লাইনে দাঁড়িয়ে সাফারির টিকিট কাটতে হচ্ছে পর্যটকদের। বাড়ছে হয়রানি। সকাল ছয়টার সাফারির জন্য ভোর সাড়ে চারটে থেকে পর্যটকদের লাইন পড়ছে কাউন্টারের সামনে। এ বিষয়ে পর্যটন ব্যবসায়ী গণেশ কুমার শা জানান, “পূর্বে অনলাইনে বুকিং করে অনায়াসে চিলাপাতা, কোদালবস্তিতে এসে সাফারি করতে পারতেন পর্যটকেরা। সাফারির টাকা কম করবার দাবি ছিল আমাদের। তবে বর্তমানে পুরো পর্যটনই পরিকল্পনাহীন হয়ে গিয়েছে।”
Annanya Dey





