তবে এবার থেকে দেশের ৭৭৮ টি পণ্যকে কেন্দ্রীয় সরকারের আইএসআই বিভাগের চিহ্নকে বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্র সরকার। এই চিহ্ন না থাকলে বাজারে পণ্য বিক্রি অথবা রফতানি করতে পারবেন না শিল্প উদ্যোগীরা ও বিক্রেতারা। এই নয়া নির্দেশের পদ্ধতি ব্যবহার সহজ করে তুলতে মালদহের ১০৫ জন ছোট থেকে বড় শিল্প উদ্যোগীদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হল। সেখানে তাদের এই নয়া নির্দেশ সম্পর্কে অবগত করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: শুধু বিদ্যুৎ সরবরাহ নয়, সোলার প্যানেল আরও কত ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে, দেখাল গ্রাম পঞ্চায়েত
এ বিষয়ে রাজ্য বিআইএস আধিকারিক মৈনাক গন্তৈত জানান, “বাসনপত্র, সরঞ্জাম, জুতা, খেলনা, পাখা, নাট, বোল্ট খাবার সহ মোট ৭৭৮টি পণ্যকে আইএসআই মার্ক বহন করা বাধ্য ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কীভাবে সহজে শিল্প উদ্যোগী, উৎপাদনকারীরা কেন্দ্রীয় সরকারের বিএসআই বিভাগের দ্বারা আইএসআই মার্ক এবং শংসাপত্র পাবেন, কীভাবে এই পদ্ধতি সহজে গ্রহণ করবেন। সে বিষয়ে অবগত করা হয় তাদের। যারা একই ধরনের পণ্য উৎপাদন করেন তারা চাইলে একসঙ্গে মিলেমিশে একটি ল্যাবরেটরি বানিয়ে পরীক্ষা করতে পারেন। অথবা জেলার বড় কোন সংস্থার ল্যাবরেটরিতে গিয়ে তাদের পণ্য পরীক্ষার পরেই পণ্য রফতানি এবং বাজারজাত করার ক্ষেত্রে বিআইএস শংসাপত্র পেতে পারবেন। সরকারি এই মার্ক বহন করলে তাদের পণ্যের রফতানি অথবা বাজারে বিক্রির ক্ষেত্রে মানসম্মত মর্যাদা বাড়বে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ বিষয়ে মালদহের পণ্য ব্যবসায়ী উজ্জ্বল সাহা জানান, “এই মার্ক বহন পদ্ধতির ফলে ভোক্তারা নিশ্চিতভাবে মানসম্পন্ন পণ্যকে চিহ্নিত করে কিনতে পারবেন। পাশাপাশি এই পদ্ধতি দেশে মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে শিল্পপতিদের উৎসাহিত করে তুলতে সাহায্য করবে।”
বাজারে মূলত স্বাস্থ্যকর এবং টেকসই পণ্যের চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে সরকারি সংস্থা দ্বারা নির্ধারিত চিহ্ন অন্যতম ভূমিকা পালন করে। মূলত দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের এই বিভাগের শংসাপত্র দ্বারাই পণ্যের গুণগতমান নির্ধারণ করা হয়। এতে বাজারে কেনাকাটার সময় স্বাস্থ্যকর টেকসই ও ভাল জিনিস চেনার ক্ষেত্রে সজাগ হতে পারবেন ক্রেতারা।
জিএম মোমিন