জেলার এক পরিবেশ প্রেমী সুমন্ত সাহা জানান, “দীর্ঘ সময়ের এই নদীটি থেকে জীব বৈচিত্র্য হারিয়ে যেতে শুরু করেছে। এই গোটা বিষয়টি হয়েছে একশ্রেণীর মানুষের কর্মকান্ডের জেরে। মূলত নোংরা-আবর্জনা ফেলার ফলেই আজকে নদীর এই বেহাল দশা। বর্তমান সময়ে নদীটির ধীরে ধীরে নাব্যতাও কমে এসেছে অনেকটা। একটা সময় নদীটিতে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। যেই মাছ বহু মানুষের জীবিকা নির্বাহের পথ ছিল। তবে বর্তমানে এই মাছ পাওয়া যাচ্ছে না নদীর মধ্যে। জঙ্গল, কচুরিপানা ও নোংরা আবর্জনা এর রীতিমত ঢেকে রয়েছে নদী। তাইতো নদীটির দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন।”
advertisement
আরও পড়ুন: বর্ষা আসতেই বাড়ছে উপদ্রব! ডেঙ্গি রুখতে বিশেষ নজর কালচিনি ব্লকজুড়ে
জেলার এক বন্যপ্রাণ প্রেমী অর্ধেন্দু বণিক জানান, “জেলার এই নদীটির মধ্যে প্রচুর জীববৈচিত্র ছিল। যেগুলি বর্তমান সময়ে আর দেখতে পাওয়া যায়। নদীটির মধ্যে প্রচুর কচ্ছপ ছিল। এই কচ্ছপগুলি মূলত সফট শেল। এছাড়া একটা সময়ে প্রচুর বিভিন্ন ধরনের পাখিদের ভিড় দেখতে পাওয়া যেত নদীর মধ্যে। বিভিন্ন। নদীয়ালী মাছ পাওয়া যেত। বর্তমান সময়ে সেইসব প্রায় নেই বললেই চলে। তাই নদীর দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন রয়েছে। নাহলে অদূর ভবিষ্যতে বাকি থাকা জীববৈচিত্র্যও ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে নদী থেকে।”
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য ডেকে বধূর শ্লীলতাহানির চেষ্টা, জলপাইগুড়িতে হাতেনাতে ধরা পড়ল কবিরাজ
কোচবিহার জেলার পরিবেশ প্রেমীরা এবং বন্যপ্রাণ প্রেমীরা নদীটির সংস্কারের আর্জি জানাচ্ছেন। সরকারি ভাবে নতুন কর্মকাণ্ড গ্রহণ করে নদীর সংস্কার প্রয়োজন। তবে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি না করতে পারলে এই সমস্যা সমাধান সম্ভব হবে না। তাইতো উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করছেন পরিবেশ প্রেমীরা। যাতে এই নদীটিকে পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব হয় সেই চেষ্টা প্রতিনিয়িত করে চলেছেন সকলে।





