এই প্রবণতার মাঝেই সুরাপ্রেমীদের জন্য বড় আপডেট নিয়ে এল প্রশাসন। দুর্গাপুজোর ক’দিন শিলিগুড়িতে রাত দুটো পর্যন্ত বার ও পাব খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে শর্তও রয়েছে কড়া। দুটোর পর কোনও অবস্থাতেই মদ পরিবেশন করা যাবে না, গেট বন্ধ করতে হবে সময় মেনে। ভেতরে থাকা অতিথিদের দ্রুত বের করে দিতে হবে। রাত দুটোর পর বার বা পাব খোলা ধরা পড়লে লাইসেন্স বাতিলের পথে হাঁটবে প্রশাসন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কিছুক্ষণেই কলকাতা-সহ ৯ জেলায় ধেয়ে আসছে তুমুল ঝড়বৃষ্টি, বজ্রপাতের আশঙ্কা, হলুদ সতর্কতা জারি
শিলিগুড়ি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার রাকেশ সিং জানিয়েছেন—“বার বা পাব খোলা রাখার অনুমতি দেয় আবগারি দপ্তর। তবে নিয়ম-শৃঙ্খলা রক্ষায় শহরজুড়ে পুলিশ টহল জারি থাকবে।” আসলে, সারা বছর শিলিগুড়িতে বার-পাব খোলা থাকে মধ্যরাত পর্যন্ত। কিন্তু মাঝেমধ্যেই মাতাল অবস্থায় ঝামেলা, দুর্ঘটনা কিংবা পুলিশ হেনস্থার অভিযোগ উঠে আসে। পুজোর সময় এই সমস্যা যাতে না বাড়ে, তাই বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে প্রশাসন। নিরাপত্তার স্বার্থে ডিজে গানও দুটোর পর বন্ধ রাখতে হবে।
অন্যদিকে, চাহিদা বাড়তে থাকায় নবমী রাতের প্রায় অর্ধেক বুকিং ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছেন শহরবাসী। অনেকেই অগ্রিম টেবিল বুক করেছেন, কেউবা এন্ট্রি পাস সংগ্রহ করে রেখেছেন। ফলে স্পষ্ট—প্যান্ডেল হপিংয়ের পাশাপাশি পুজোর রাতে পাব কালচার এখন নতুন ট্রেন্ড শিলিগুড়ির তরুণ প্রজন্মের কাছে।
তবে একটা নিয়ম আগের মতোই বহাল থাকছে—দশমীর দিন শহরের সমস্ত মদের দোকান থাকবে বন্ধ। তাই আগেভাগেই লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে সুরাপ্রেমীরা কিনে রাখছেন ‘স্টক’। কারও উদ্দেশ্য নবমী-দশমীর উৎসব জমিয়ে তোলা, আবার কারও পরিকল্পনা পুজোর ছুটির শেষ দিনগুলোকে আরও রঙিন করা। শহরের রাত এখন পুজোর উন্মাদনায় টইটুম্বুর, তবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কড়া নজরদারিও চালাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন।