একাধিক বাংলাদেশি ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে জেলায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। জেলাতে কমবেশি প্রায় ১০ থেকে ১২ জন এমন বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গার খোঁজ মিলেছে ইতিমধ্যেই।
আরও পড়ুন- রাস্তার পাথর দিয়ে প্রস্তরভাস্কর্য তৈরি! আন্তর্জাতিক স্তরে নামোজ্জ্বল বাংলার শিল্পীর
সেই ১০ থেকে ১২ জনের নামের তালিকাও জেলাশাসককে দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। আশঙ্কার বিষয়, কয়েকজন বাংলাদেশি অবৈধভাবে এপারে এসে ধরা পড়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যায় গোপনে ভারতে ঢুকে পড়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর।
advertisement
এদের মধ্যে কোনও জঙ্গি সংগঠনের সদস্য রয়েছে কি না সে ব্যাপারেও আশঙ্কা রয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে নানা অসঙ্গতিপূর্ণ কথাবার্তা সামনে আসতেই সন্দেহ বেড়েছে পুলিশের। ঠিক কবে থেকে ভারতে রয়েছে তাঁরা, কী উদ্দেশ্যে এদেশে এসেছে সেই বিষয়ে নানারকম দাবি উঠছে।
এদিকে জেলা শাসকের তরফে জানানো হয়েছে, একটি রাজনৈতিক দলের তরফে আমাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে লিখিত পাইনি। এনিয়ে নির্বাচন কমিশনের যে গাইড লাইন রয়েছে সেই ভাবেই তদন্ত করা হবে।
আরও পড়ুন- বহু ভাষায় ৭০০-রও বেশি সংবাদপত্র তাঁর সংগ্রহে! গ্রন্থাগারিক রত্নভান্ডার তিলে তিলে সাজানো
জেলার সব থেকে বেশি এমন অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা রয়েছে কুমারগঞ্জের ভোঁর, দিওর, তপন ব্লকের হরসুরা, সহ বালুরঘাট ব্লকের একাধিক জায়গায়। এই সমস্ত অনুপ্রবেশকারীদের কাছে এপারে তাদের ভারতীয় হওয়ার তথ্য যেমন রয়েছে, একইভাবে আবার বাংলাদেশেও তথ্য রয়েছে। এমনটাই দাবি রাজনৈতিক নেতৃত্বের।
পাশাপাশি আরও দাবি, আরও চার-পাঁচ জনের নামের তালিকা মিলেছে। আরও কিছু নামের তালিকা পাওয়ার কথা রয়েছে। সবগুলো হাতে এলেই আবার জেলা শাসকের দ্বারস্থ হবেন। অনেকেই অবৈধভাবে ভারতে এসে রয়েছেন কিংবা এখানকার স্থানীয় বাসিন্দা হিসাবে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস শুরু করেছেন। সেই তালিকা তৈরি করা হচ্ছে, সম্পূর্ণ তথ্য পেলেই আবার তাঁরা জেলা শাসকের দ্বারস্থ হবেন।
ওপার বাংলা থেকে এদেশে আসার নেপথ্যে ধৃত বাংলাদেশির কোনও গভীর ষড়যন্ত্র ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এপারে আসার প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএসপি (সদর) বিক্রম প্রসাদ।
সুস্মিতা গোস্বামী