অপরদিকে, গ্রিন করিডোর বৃদ্ধি পাওয়ায় এই জনপদগুলোই যেন আজ দ্বিতীয় বাসস্থানে পরিণত হয়েছে কিং কোবরা, থেকে লেপার্ডদের। যে কারণে প্রায়শই বিভিন্ন এলাকার বসতবাড়ি থেকে পরিবেশ কর্মীরা উদ্ধার করছে বিষাক্ত সাপ, আবার কোথাও শিকারের খোঁজে বাড়ির গোয়াল ঘরে হানা দিচ্ছে ক্ষুধার্থ লেপার্ড। যাকে এক কথায় বলা যেতেই পারে, ডুয়ার্স জুড়ে মানুষ এবং বন্য প্রাণের সংঘাতের সঙ্গে বাড়ছে দূষণ।
advertisement
সেই সংঘাত এবং দূষণ থেকে নিজে এবং প্রকৃতিকে বাঁচানোর লক্ষ্যে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বুধবার জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার মহকুমার, আদর্শ এবং শুভাসিনি স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে তিনটি স্বেচ্ছা সেবি সংগঠণ, গ্রিন ডুয়ার্স, মালবাজার মন্টেন্ট ট্রেকার্স ফাউন্ডেশন এবং কলকাতার সৃজলাং ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করে। দুটি স্কুলেই ছাত্র ছাত্রীরা নিজ নিজ এলাকার বাস্তব সমস্যার সমাধানের পথ খুজতে উৎসাহের সঙ্গে কর্মশালায় উপস্থিত স্বেচ্ছা সেবি সংগঠণের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে দেখা যায়।
এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, ডুয়ার্সের পরিবেশ কর্মী স্বরুপ মিত্র, চিলেন নাথ জিও চ্যানেলের সর্প বিশেষজ্ঞ দলের অন্যতম সদস্য অলোক কুমার নাথ, অজয় তিওয়ারি , এবং বিশিষ্ট সমাজ কর্মী তানিয়া হক-সহ সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা।এই বিশেষ কর্মশালা প্রসঙ্গে ডুয়ার্সের অন্যতম সমাজ কর্মী তানিয়া হক বলেন।
এই সময়ে, চিতা বাঘের সঙ্গে মানুষের সংঘাত এবং গরমের সময় বিভিন্ন জনপদে সাপের আনাগোনা নিয়ে যেমন ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করা হল, এর সঙ্গে প্লাস্টিক থেকে পরিবেশের যে ক্ষতি সেই সম্পর্কেও ছাত্র ছাত্রীদেরকে সচেতন করা হয়েছে, যাতে আগামীতে এই ছাত্র সমাজ এই জ্বলন্ত সমস্যা গুলো নিয়েই আরও বেশি মানুষকে সচেতন করতে পারে। অপরদিকে এই কর্মশালা প্রসঙ্গে সর্প বিশেষজ্ঞ স্বরুপ মিত্র জানান, আজকে দুটি স্কুলে মূলত সাপ কামড়ানোর পর কি কি করণীয় সেই বিষয়ে টি ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
সুরজিৎ দে