বর্ষাকাল এলে বাজারে হাতে গোনা কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছেই এই মাছ মেলে। বর্ষা পেরোলেই আবার সেইভাবে দেখা মেলে না বললেই চলে৷ এ জন্যই রাইখোরের পাশাপাশি অন্যান্য নদীয়ালি মাছ প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। মূলত বালুরঘাট শহরের তহ বাজার, সাহেব কাছারি বাজার, চকভৃগু বাজার, পাওয়ার হাউস বাজার সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় রাইখোর প্রচুর পরিমাণে দেখা যেত। আমদানিও বেশ ভাল ছিল। কিন্তু, গত কয়েক বছর ধরে বালুরঘাটের বাজারগুলিতে সে ভাবে দেখা মিলছে না রাইখোরের।
advertisement
আরও পড়ুন: নাওয়া খাওয়ার জলটুকুও মিলবে না! বালুরঘাটের বাসিন্দাদের জন্য আসছে সবচেয়ে বড় দুর্ভোগের দিন
এবিষয়ে পরিবেশপ্রেমী তুহিনশুভ্র মণ্ডল জানান, “রাইখর মাছ আমাদের অহঙ্কার ছিল। বাবা ঠাকুরদার কাছে শুনেছি, দুর্গাপুজোর পর পর আত্রেয়ী নদীতে রাইখোর মাছের এত জোগান হত যে, নদীর জলের রং বোঝা যেত না। এখন সেই মাছ নদীতে প্রায় বিলুপ্তির পথে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জলের প্রবহমানতা অনেক কমে যাওয়ায় এই মাছ আর দেখা যাচ্ছে না। বাংলাদেশের চলনবিল থেকে উজানে রাইখোরের জোয়ার আসত। চলনবিলের সঙ্গে যোগাযোগ ক্ষীণ হয়ে পড়েছে নানা জায়গায় নদীবাঁধের কারণে। নদীর তীরের জলে যেখানে ঘাস জাতীয় গুল্ম থাকে, সেটা রাইখোর মাছের পছন্দের জায়গা। বর্তমানে নদী তীরের জমিতে প্রচুর কীটনাশক দেওয়া হচ্ছে। সেই জল নদীতে মিশে রাইখোরের বসবাসের অযোগ্য করে ফেলেছে। দূষণ হওয়ার কারণে ডিমও দিচ্ছে না। আগের মত ঠিকঠাক বৃষ্টিও তো এখন হয় না। তাই বলা যেতেই পারে রাইখোর এখন আত্রেয়ী নদীতে পাওয়া স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সুস্মিতা গোস্বামী





