প্রায় ২১ বছর ধরে এই ব্যবসা চালাচ্ছেন শিবু জানা। তিনি জানান, সাম্প্রতিক চারা গাছের ব্যবসা বেড়েছে হু হু করে। ঘরবাড়ির সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি মানুষ এখন ছোট করে বাগান কিংবা ছাদ বাগান বানাচ্ছেন। আর ফ্ল্যাট বাড়ি হলে আলো ছায়ায় বেড়ে উঠতে পারে এমন গাছ লাগাচ্ছেন। ফলেই নার্সারিগুলিতে আবার লক্ষ্মী লাভ হচ্ছে। এছাড়াও ব্যবসায়ী বলেন যে চারা গাছ মানেই যে শুধু চারা গাছ সেটাই নয়, সঙ্গে বিক্রি হয় গাছের সার, মাটি, টব ইত্যাদি। ভাল ফুল পেলে মানুষ আবারও ফিরে আসছেন এবং কিনে নিয়ে যাচ্ছেন অন্যান্য চারা।
advertisement
আরও পড়ুন: পূর্ব মেদিনীপুরে ১৮ আধিকারিকের বদলি! তালিকায় জেলাশাসক, আরও? দেখে নিন খুঁটিনাটি
বর্তমানে রকমারি চারা গাছের চাহিদা বেড়েছে বাঁকুড়ায়। অনেকেই উপহার হিসেবে ব্যবহার করছেন চারা গাছগুলিকে। আবার শখ করে কেউ কেউ লাগাচ্ছেন নির্দিষ্ট কোনও ফুল বা ফলের চারা। তার সঙ্গে কৃষকরা বাঁকুড়ার সূর্যের প্রখর রোদের হাত থেকে চারা গাছগুলিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ছাউনি করে নার্সারিতে তৈরি করছেন বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা এবং সেই চারা বিক্রি করা হচ্ছে বাঁকুড়ার নার্সারিগুলিতে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শীতকালে প্রতিবছর পুষ্প প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন তিনি। এর যেমন একটি ব্যবসায়িক দিক রয়েছে সেরকমই রয়েছে পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতা। পৃথিবীতে দিনের পর দিন কমে যাচ্ছে গাছের সংখ্যা, তৈরি হচ্ছে কংক্রিটের জঙ্গল। তাই শখের চারা গাছ কিনে সেই গাছ লাগালে কল্যাণ হবে প্রকৃতির। বাঁকুড়া শহরের মানুষ ধীরে ধীরে প্রকৃতিমুখি হচ্ছেন।





