এই পেশার সঙ্গে কেউ দশ বছর আবার কেউ তারও বেশি সময় ধরে যুক্ত রয়েছেন। পর্যটকদের সামনে ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পরিবেশন করে আসছেন লোকনৃত্য ও লোকসঙ্গীত। যদিও তাঁদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ঠিক নেই। তবুও পর্যটকদের মনোরঞ্জনে খামতি রাখেন না তারা। জলদাপাড়া জঙ্গল ঘেরা কোদলবস্তি এলাকায় এই লোকশিল্পীদের বসবাস। এই পর্যটনস্থলে দুটি লোকশিল্পীদের দল রয়েছে।যেখানে সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩০ জন।
advertisement
জানা যায়, এই সদস্যের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন সরকারি ভাতা পেলেও, অধিকাংশের জোটে না তা। লোকশিল্পীরা জানান, একাধিকবার বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরে আবেদন করার পরও এখনও তা মেলেনি। কেন কেমন হচ্ছে সেই কারণও অজানা। কোদলবস্তির লোকশিল্পীদের কথায়, পর্যটকদের কাছে লোকসঙ্গীত, লোকনৃত্য পরিবেশিত করে মাথা পিছু ৫০ টাকাই আয় হয়। সেটা দিয়ে সংসার চলে না। তবুও হাসিমুখে এই কাজ করেন তারা। সরকারি ভাতা পেলে তা দিয়ে কিছুটা হলেও ছেলে মেয়ের পড়াশোনার খরচ ওঠানো যেত বলে দাবি তাদের।
যদিও এই বিষয়ে মেন্দাবাড়ির গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান চন্দ্রা নার্জিনারী বলেন, ‘তাদের ভাতা শীঘ্র চালু করার পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই আমরা নিয়েছি। আশা করছি শীঘ্র তা চালু হয়ে যাবে’। জলদাপাড়া জঙ্গলের সাফারি পছন্দ পর্যটকদের। জঙ্গল ভ্রমণের একটি অঙ্গ হল সাফারি। তেমনই লোকশিল্পীদের নৃত্য একটি অঙ্গ এই জঙ্গলের। রাভা-সহ বিভিন্ন জনজাতির সংস্কৃতি সম্পর্কে পরিচিত হন সকলে।