পাচারকারীদের থেকে প্রায় ৪৭০ গ্রাম চাইনিজ প্যাঙ্গোলিনের আঁশ উদ্ধার করেছে।নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে, জলদাপাড়া দক্ষিণ রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার রাজীব চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। নিষিদ্ধ বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারের চেষ্টা করার সময় জলপাইগুড়ি জেলার কালীরহাট গ্রামের বিনোদ রায় এবং জলপাইগুড়ি জেলার মধ্য খুটিমারি গ্রামের পূর্ণ রায় নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত উভয়কেই হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং আরও তদন্ত চলছে। আগামীকাল তাদের তোলা হবে আদালতে।
advertisement
আরও পড়ুন: তাঁর জন্যই বিখ্যাত তারাপীঠ! তারা মায়ের দর্শন করতে গেলে একবার ঘুরে আসুন সাধক বামাক্ষ্যাপার সমাধিস্থল
জানা গিয়েছে, এই পাচারকারীরা ফালাকাটার রাস্তা ধরে কোচবিহার হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে এই আঁশ বিক্রির ছক কষেছিল। চিন, ভুটানে এই প্রাণীর আঁশ-এর চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী ওষুধ প্রস্তুতির জন্য প্যাঙ্গোলিনের আঁশ এবং মাংস উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত করা হয় দেশগুলিতে বলে জানা যায়। উত্তর-পূর্ব ভারতে কিছু স্থানে এখনও কিছু আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে এই প্রাণীর আঁশ ব্যবহার হয় বলে জানা যায়। এই স্থানগুলিতে প্রচুর টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয় প্যাঙ্গোলিনের দেহাংশ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্যাঙ্গোলিন স্তন্যপায়ী প্রাণী। এদের শরীরের আঁশযুক্ত বর্মের জন্য পরিচিত। যা নখ বা পায়ের নখের মতো একই উপাদান অর্থাৎ কেরাটিন দিয়ে তৈরি। এরা একাকী, নিশাচর এবং মূলত পিঁপড়া ও উইপোকা খেয়ে জীবনধারণ করে। উইয়ের ঢিবির সামনে এদের বাস দেখা যায়। তবে উত্তরবঙ্গ থেকে ধীরে ধীরে কমছে এই প্রাণীর সংখ্যা। ভুটান ও চিনে এই প্রাণী পাচার হয়ে যাচ্ছে। যা চিন্তার কারণ বন দফতরের কাছে।






