দু'মাস আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ঝাড়খণ্ডের সেরাইকোলা থানা এলাকার এই যুবতী। পরিজনরা বহু খোঁজাখুঁজির পরেও তার সন্ধান পায়নি। ইতিমধ্যে সে এসে পৌঁছয় হাসনাবাদ এলাকায়। সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। নাম পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে দুর্বোধ্য ভাষায় কী যে বলেন কিছুই বোঝা যায় না। স্থানীয় একটি চানাচুর ফ্যাক্টরির কর্মী মালা মণ্ডল ও মৌসুমী মণ্ডল তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। ওই যুবতীকে চিকিৎসা ও খাইয়ে দাইয়ে কিছুটা সুস্থ করে তোলেন তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুন: বসিরহাটে ঘরে ঘরে শিশুদের জ্বর-সর্দি, শ্বাসকষ্ট
চানাচুর কারখানার ওই দুই মহিলা এরপর তাকে পেন আর খাতা ধরিয়ে দেন। তাতেই রহস্যের সমাধান হয় অনেকটা। যুবতীর লেখা থেকে তার ঠিকনা কিছুটা উদ্ধার হওয়ায় তাঁরা যোগাযোগ করেন হিঙ্গলগঞ্জের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আহ্লাদির চেয়ারপার্সন সুশান্ত ঘোষের সঙ্গে। সুশান্তবাবু হ্যাম রেডিওর সঙ্গে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে উদ্ধার হয় যুবতীর আসল পরিচয়।
মোবাইলের মাধ্যমে তাকে পরিবারের সঙ্গে কথাও বলান। এদিন তাকে নিতে আসেন পরিবারের সদস্যরা। যুবতীকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই বিষয়ে হ্যাম রেডিওর রাজ্য সম্পাদক অম্বরিশ নাগ বিশ্বাস জানান, কয়েকদিন খোঁজাখুঁজির পরই ওই যুবতীর বাড়ির ঠিকানা পাই। তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমরা ভীষণ খুশি।
জুলফিকার মোল্লা






