স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকার এই পুকুরের জলেই রয়েছে বিশেষ মাহাত্ম্য মনে করেন স্থানীয়রা। তাই এই এলাকার মানুষজন পুকুর পাড়েই তৈরি করেছেন হরিচাঁদ গুরুচাঁদের মন্দির। শুধু তাই নয়, সুদূর ঠাকুরবাড়ি থেকে ১০১ ঘটি জল এনে শোধন করা হয় এই পুকুর। আর তারপর থেকেই এই পুকুরের মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। স্নান করতে আসা ভক্তরা জানালেন, চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধে কাজ না করলেও এই জলে ডুব দিলে দূর হয় শারীরিক সমস্যা। দীর্ঘদিন সন্তান না হওয়ায় নানা সমস্যা মুখে পড়তে হচ্ছিল এক গৃহবধূকে, মনের ইচ্ছা নিয়ে এই পুকুরে ডুব দিতেই কয়েক মাসের মধ্যে কোলে আসে সন্তান।
advertisement
আরও পড়ুন: রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন ৭০-এর বৃদ্ধ! ছুটে এলো লরি! তারপর? ভয়াবহ
আরও পড়ুন:
তাই প্রতি বছর নানা মনের ইচ্ছা নিয়ে মানুষজন এই দিন কামনা পুকুরে ডুব দেন ভক্তি করে। সকাল থেকেই এদিন এলাকার বাসীদের দেখা গেল এই পুকুরে স্নান করতে আট থেকে আশি সকলেই একবার ডুব দিচ্ছেন। সুদূর সুন্দরবনের ঝড়খালি থেকে আসা এক নব দম্পতিকেও দেখা গেল এই পুকুরে ডুব দিতে। তারাও জানালেন, নিজেদের মনোবাসনা পূর্ণ করতেই এই কামনা সাগরে স্নান। এদিন পুকুর সংলগ্ন মন্দিরেও ভক্তরা মিলিত হন এবং চলে খিচুড়ি ভোগ প্রসাদ বিতরণ। সাথে কাসর ডঙ্কা নিশান নিয়ে হরিনাম সংকীর্তন। উপস্থিত হয়েছিলেন মতুয়া ভক্ত দলপতি গোসাই পাগল রাও। সব মিলিয়ে এই দিনের স্নান ঘিরে যেন উৎসবের মেজাজ গোটা এলাকায়।
Rudra Narayan Roy