পর্ষদ সূত্রে খবর, নথি যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হয়। এরপরই ইন্টারভিউ দিতে আসা ওই দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর পর্ষদ অফিস থেকে খবর যায় বিধাননগর পূর্ব থানায়। পুলিশ এসে দুই ভুয়ো চাকরি পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: জলের ট্যাঙ্কে উঠে ‘বউয়ের কাছে যাওয়ার’ হুমকি, যুবককে নামাতে হিমশিম খেলো পুলিশ ও দমকল
advertisement
প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের পক্ষ থেকে ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার জানান, ইন্টারভিউয়ের প্রথম ধাপে অরবিন্দ মণ্ডলের মার্কশিট দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়। রায়দিঘির ওই যুবক অন্য একজনের আসল মার্কশিট ও সার্টিফিকেটের উপর নিজের নাম টাইপ করে নিয়ে এসেছিল বলে পর্ষদের অভিযোগ। সার্টিফিকেটটি পূর্ব মেদিনীপুরের বিবেকানন্দ পিটিটিআই ইনস্টিটিউটের বলে জানা গিয়েছে। ২০১৫-১৭ সালে সে ওখান থেকে পাস করেছিল বলে দাবি করে। কিন্তু পর্ষদ জানতে পেরেছে পুরোটাই ভুয়ো।
ইন্টারভিউয়ের দ্বিতীয় অর্ধে সমীর সরকার নামে এক যুবক যে সমস্ত মার্কশিট ও সার্টিফিকেট জমা দেন তার সবই ভুয়ো বলে বুঝতে পারেন পর্ষদ কর্তারা। নদিয়ার আড়ংঘাটার সমীর অত্যন্ত কাঁচা কাজ করেছিল বলে পর্ষদের একটি সূত্রের খবর। এরপরই এই দু’জনকে ধরে বিধাননগর পূর্ব থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে এই দু’জনের নামে লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ইন্টারভিউ ৩ দিন ধরে চলেছে। তাতে মোট চারজন ভুয়ো পরীক্ষার্থী হাতেনাতে ধরা পড়ে। প্রত্যেককেই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং আইন মেনে পদক্ষেপ করেছে পর্ষদ।
অনুপ চক্রবর্তী