টাকির পর্যটন মানচিত্রে নতুন সৌন্দর্যের পালক উন্মোচিত হলো। মলদ্বীপে রঙিন ভাসমান কুঁড়েঘরের ছবি অনেকেই নিশ্চয়ই দেখেছেন, এরকম ঘর তৈরি করা হয়েছে জলের উপর বিশেষ ভাসমান হোটেল। ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ঐতিহাসিক পর্যটনকেন্দ্র টাকিতে বরাবরই পর্যটকদের একটা আলাদা আকর্ষণ থাকে। টাকি পর্যটন কেন্দ্রে এবার নতুন পালক জুড়লো। এদিন মলদ্বীপ রিসর্ট উদ্বোধন অনুষ্ঠান থেকে বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক ডক্টর সপ্তর্ষি ব্যানার্জি বলেন, “টাকির বুকে আমাদের নতুন সংযোজন মলদ্বীপ রিসর্ট। মলদ্বীপের অনুকরণে জলের উপর ঘর তৈরি করা হয়েছে। অনেকেই মলদ্বীপে যেতে পারে না, কিন্তু এখানে এসে মলদ্বীপের স্বাদ কিছুটা অনুভব করতে পারবেন। “
advertisement
যদি কম বাজেটে দিনের মধ্যেই কলকাতা থেকে খুব কাছে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার মন চায়, তবে অবশ্যই আপনার গন্তব্যের তালিকায় থাকা উচিত টাকি পর্যটন কেন্দ্রের। তবে চাইলেও আপনি কয়েকদিনের জন্য সময় কাটাতেও পারেন। ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত বরারবর ইছামতী নদীর তীরে গড়ে উঠেছে ছোট বড়ো অনেকগুলি হোটেল। হোটেল ভাড়া শুরু ৭০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: আসছে কালবৈশাখী! এক বছর আগে ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছিল গোটা এলাকা! বছর ঘুরতেই ফের আতঙ্ক!
ট্রেনে শিয়ালদাহ স্টেশন থেকে হাসনাবাদ লোকাল ধরে প্রায় ২ ঘণ্টা সময়ের ব্যবধানে পৌঁছে যাবেন টাকি স্টেশন। সেখান থেকে টোটোতে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে যাবেন ইছামতী নদীর তীরে ছোট্ট শহর টাকি। প্রথমেই আপনার চোখে পড়বে ইছামতী নদীর ওপারের কিনারায় বাংলাদেশের দৃশ্যপট। পরপর টাকি পূর্বেরবাড়ি, রাজবাড়ি, ম্যানগ্রোভ অরণ্যাবৃত মিনি সুন্দরবন, আবার ইছামতী নদী বক্ষে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার গা ঘেঁষে যেতে পারেন ইছামতী কালিন্দী ও বিদ্যাধরী তিন নদীর মোহনা, রয়েছে ৪০০ বছরের পুরনো জমিদার বাড়ি।
আরও পড়ুন: বাড়ির সীমানা থেকে রহস্যজনক আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল! কাছে যেতেই একী দেখলেন ব্যক্তি!
এর পাশাপাশি টাকি পর্যটন কেন্দ্রের নতুন পালক জুড়ল মলদ্বীপ রিসোর্ট এন্ড হোটেল। এখানে জলের পাশে একটি খোলা রিসর্টে থাকার সময় মলদ্বীপের অনুভূতি নিতে পারেন। শুধু তাই নয়, এই মিনি মলদ্বীপের ব্যাকওয়াটারের সুন্দর দৃশ্য আপনাকে মন্ত্রমুগ্ধ করবে। মন চাইলে আপনি ছিপ দিয়ে মাছও ধরতে পারবেন। সব মিলিয়ে টাকি পর্যটন কেন্দ্র রাজ্য তথা দেশে অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে চলেছে।
জুলফিকার মোল্যা