বসিরহাট শহর, খোলাপোতা, বাদুড়িয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক নার্সারিতে এসময় চারা বিক্রি ও পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন মালিক-শ্রমিকরা। আগের থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে গাছ রোপনের চাহিদা বেড়েছে। বিশেষ করে এ বছর বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে গ্রীষ্মকালে বেড়েছে তাপমাত্রাও তা জানাচ্ছেন অনেক ক্রেতাই।
আরও পড়ুন ঃ হেরিটেজ ঘোষণা করা হল গোবরডাঙ্গার ৫ টি দর্শনীয় স্থানকে, খুশি এলাকাবাসী
advertisement
পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে বেড়েছে সচেতনতা। আর সেজন্য বিভিন্ন নার্সারিতে ভিড় করছেন বৃক্ষ প্রেমী মানুষ। এসব নার্সারিতে ফলজ বৃক্ষের মধ্যে রয়েছে— আম, জাম, কাঁঠাল, ড্রাগন, লেবু, নারিকেল, কুল। ফুলের মধ্যে জবা, জুঁই, এলকমুন্ডা, কবরীসহ আরও হরেক রকম ফুলের চারা।
বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন রাস্তার পাশে অধিকাংশ নার্সারি গড়ে উঠেছে। পথের ধারে নার্সারির চারাগুলো যেন শোভাবর্ধন হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এতে করে দৃষ্টি কাড়ছে পথচারিদের। খানিকটা প্রাণ জুড়াতে কেউ কেউ ঘুরে ঘুরে দেখছেন আবার কেউবা কিনে নিচ্ছে নানা জাতের চারা।
আরও পড়ুন ঃ পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে স্বাধীনতা, মিষ্টি দেওয়া হল বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীদের
বসিরহাটের খোলাপোতায় এক নার্সারি উদ্যোক্তা জানান, “সারাবছর সাধারণভাবে আমরা জল দিই কিন্তু বর্ষাকালে বৃষ্টির জলে অতিরিক্ত নাইট্রোজেন থাকে যার ফলে এসময় চারা দ্রুত শিকড় ছড়ায় গাছের দ্রুত বৃদ্ধিও হয়। এ জন্য গাছের চারা মরে যাওয়ার পরিমাণ কম থাকে।” সব মিলিয়ে বসিরহাট মহাকুমার বিভিন্ন নার্সারি গুলিতে অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বর্ষাকালে যথেষ্ট ভিড় করছেন পরিবেশ সচেতন ও গাছ প্রেমী মানুষ।
জুলফিকার মোল্যা