আরও পড়ুন: গ্রামীণ পর্যটনকে তুলে ধরতে শুরু হল উৎসব
স্কুলের আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে ফুটবল নিয়ে সারা মাঠজুড়ে দাপিয়ে বেড়াল ছেলেমেয়েরা। তারা খুব খুশি। মাঠের বাইরে বসে শিক্ষক-শিক্ষিকারা উৎসাহ জোগালেন ছাত্রদের। ফুটবল ম্যাচ দেখার জন্য অভিভাবকদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। তিনদিন ব্যাপী আন্তঃশ্রেণি এই ফুটবল প্রতিযোগিতা চলে বি.কে.সি কলেজ মাঠে। বিদ্যালয় এর পাশাপাশি ছাত্রদের মাঠমুখী করতে অন্যতম উদ্যোগ নেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি তথা বরানগর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শান্তনু মজুমদার। তিনি এই জ্যোতিনগর স্কুলেরই প্রাক্তন ছাত্র।
advertisement
চূড়ান্ত পর্বের খেলায় উপস্থিত না থাকতে পারলেও বিদ্যালয়কে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান দমদমের সাংসদ সৌগত রায়, বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় এবং বি. কে. সি. কলেজের অধ্যক্ষা পাপিয়া চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরানগর পুরসভার কাউন্সিলররা, এলাকার অন্যান্য স্কুলের প্রতিনিধি সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বেরা। ফাইনাল খেলা ঘিরে ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের উৎসাহ যেন আলাদা মাত্রা লাভ করে। ছোটদের গ্রুপ থেকে ৩ -২ গোলে বিজয়ী হয় অষ্টম শ্রেণি এবং বড়দের গ্রুপ থেকে ৩-১ গোলে বিজয়ী হয় একাদশ শ্রেণি।
ছোটদের গ্রুপে (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির মধ্যে) সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরষ্কার পায় রাহুল নন্দী, অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়ের পুরস্কার পায় শ্রীকান্ত বাগদি, সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। সেরা গোলকিপার হয় দীপেন্দু, সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। আর বড়দের বিভাগে (নবম থেকে দ্বাদশ) সর্বোচ্চ গোলদাতা হয় রাজা চন্দ (৫ গোল), একাদশ শ্রেণির ছাত্র। শ্রেষ্ট খেলয়াড় হয় প্রণব সর্দার, দশম শ্রেণির ছাত্র এবং সেরা গোলকিপার হয় সোহম দত্ত, দশম শ্রেণির ছাত্র।
স্কুল ছাত্রদের নিয়ে এমন ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ গোপাল সাঁই বলেন, গতানুগতিক পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রদের খেলাধুলার প্রতি উৎসাহ তৈরির চেষ্টা সবসময়ই আমরা চালিয়ে যাই। মোবাইলে আসক্তি কাটিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরাও ভীষণ উপভোগ করেছে এই আন্তঃস্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতা।
রুদ্রনারায়ণ রায়