মাধ্যমিকে সেকেন্ড ডিভিশন পেয়ে পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করেছে মেয়ে তবুও আনন্দ নেই বাড়িতে। নিজেকে অনেকটাই ঘরবন্দী করে নিয়ে, কেঁদে চলেছে অস্মিতা। কিছু সময় অন্তরই দেখছে ফোন। ফোনে রিং হলেই ছুটে যাচ্ছে সে। বাইরের দরজায় দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাবার ফিরে আসার অপেক্ষা করছে। বাবা কোথায় চলে গেল? কেন আসছে না? সেই একই কথা বলে চলেছে অস্মিতা। মা স্বপ্না সাহাও কিছুতেই মেয়ের মুখোমুখি হয়ে আশ্বস্ত করতে পারছেন না। আর কি বা বলবেন! দীর্ঘ প্রায় নয় দিন কেটে গেলেও এখনও দীপেশ সাহার কোন খবর দিতে পারেনি প্রশাসন। স্বামীকে খুঁজে দেওয়ার আকুতি নিয়ে প্রতিদিনই নানা প্রশাসনিক আধিকারিকদের দোরগোড়ায় মাথা ঠুকছেন স্বপ্না দেবী।
advertisement
আরও পড়ুন - মধ্যমগ্রামে দুই প্রজন্ম ধরে চলছে এই চপের দোকান, সন্ধ্যা হলেই উপচে পড়ে ভিড়
মা স্বপ্নাদেবী জানান, সংসারে আর্থিক টানাটানি থাকলেও মেয়ের পড়াশোনায় কোন খামতি রাখেননি বাবা দীপেশ সাহা। কলা ও বিজ্ঞান বিভাগের জন্য দুজন শিক্ষক এবং ইংরেজি ও অঙ্কের জন্য আলাদা টিউশন রেখেছিলেন। কিন্তু জানিনা এরপর কি হবে! সামনাসামনি কি দেখতে পাবো তাকে? এখন সেটাই সবথেকে বড় চিন্তার।'
এখন স্বপ্নাদেবী ও অস্মিতার একটাই লক্ষ্য, যে ভাবেই হোক দীপেশ বাবুকে খুঁজে বের করে, বাড়িতে ফিরিয়ে আনা। স্বপ্নাদেবী জানান, এবার তিনি নিজে উত্তরবঙ্গ পাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইতিমধ্যে এব্যাপারে অশোকনগর থানার আধিকারিকের সঙ্গেও কথা বলেছেন বলে জানান। মেয়ে অস্মিতা জানান, দুজন লোক নিরুদ্দেশ হয়ে গেল আর কারোর কোন মাথাব্যথা নেই। পুলিশও কিছু বলতে পারছেনা বাবার ব্যাপারে। মাধ্যমিকের ফলাফল বের হলেও পরবর্তী কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার অবস্থায় আমি নেই। আমি চাই যেভাবেই হোক আমার বাবাকে খুঁজে বার করে দিক প্রশাসন।
রুদ্র নারায়ন রায়