তিন ভাইয়ের মধ্যে সে-ই সব থেকে ছোট। কোনওরকমে শুরু করেছিলেন ব্লাউজের ব্যবসা। কিন্তু, নানা কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে ছাড়তে হয় সেই ব্যবসা। তারপর থেকেই নানাভাবে কাজের সন্ধানে ঘুরতে ঘুরতে পৌঁছন গোবরডাঙ্গা শ্মশানে। প্রথমে কাঠ গোছানোর মধ্যে দিয়ে শুরু করেন কাজ। সেই সময় অন্য সৎকার কর্মীর দাহকার্য দেখে যেটুকু শেখা।
advertisement
অতীতে যে শ্মশানকে কিছুটা এড়িয়ে চলতেন, আজ সেই শ্মশানেই নিজের আবেগকে চেপে রেখে সৎকার বন্ধুর কাজ করতে হচ্ছে সমীরকে। এখন শ্মশানে আসা মৃতদেহ, তাদের নাম নথিভুক্ত করা থেকে শুরু করে চিতা সাজানো সবটাই সামলান এই যুবক। কোনও একদিন শ্মশানে মৃতদেহের চাপ থাকায়, সমীরের ডাক পড়ে।
প্রথম দিনই নিজের হাতে চারটি মৃতদেহ সৎকারের কাজ করে শুরু হয় সৎকার বন্ধু হিসাবে পথ চলা। সেই থেকে এখনও নিয়ম করে গোবরডাঙ্গা শ্মশানের সৎকার বন্ধুর কাজ করে চলেছেন সমীর রায়। তার কথায়, ‘কোন কাজই যে ছোট নয়’।
Rudra Narayan Roy