আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার জন্য একের পর এক দলবদল করছেন সাধারণ মানুষ। যখন যে দলের প্রতিনিধিরা ডাকছেন তাদের সঙ্গেই ছুটে যাচ্ছেন বিডিও অফিস থেকে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে। কখনো সিপিএমের হয়ে, কখনো আবার বিজেপির। এমনকি ঘর পাওয়ার জন্য শাসক দল তৃণমূলকেও সমর্থন জানিয়েছেন হাবড়া এক নম্বর বিডিও অফিসের অন্তর্গত বহু সাধারণ নাগরিক। দীর্ঘ আবেদন নিবেদনের পরও মেলেনি কোন সুরাহা। সব রাজনৈতিক দলই এদের ব্যবহার করেন নিজেদের স্বার্থে। কখনো মিটিং মিছিল কখনো আবার বিক্ষোভ সমাবেশ, এ আকার এই সাধারণ মানুষদের ঘরের কথা বলেই নিয়ে যাওয়া হয় রাজনৈতিক কর্মসূচিতে। আর একটা ঘর পাওয়ার আশায়, কোন দিক বিবেচনা না করেই সব রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে তাদের পতাকা হাতেই পৌঁছে যান এহেনও সাধারণ নাগরিকরাই।
advertisement
আরও পড়ুন: 'সংবিধান মানছে না মমতার সরকার', রাজ্যপালের দ্বারস্থ শুভেন্দু-সুকান্ত
যার মধ্যে রয়েছেন মহিলা পুরুষ উভয়ই। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বহুবার আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার আবেদন জানালেও এখনো মঞ্জুর হয়নি। শাসক দলে থাকাকালিন তাদের বলা হয় ঘর পেলে আবার দল বদলে ফেলবেন, বিরোধী দলকে সমর্থন করলে শাসক দলের রোষের মুখে ঘরের তালিকায় নাম আসলেও বাদ তা বাদ দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ জানাচ্ছেন ঘর না পাওয়া সাধারণ মানুষরাই।বাড়ি থাকার উপযুক্ত নয়, সামনেই বর্ষা আসবে তার আগে যদি বাড়ি মেরামতি হয় তাহলে সন্তান দের নিয়ে কোনরকম মাথা গোজার ঠাঁই হবে সেই আশাতেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হয়ে গলা চড়াতে দেখা যায়। পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি দফতরে ঘুরে আজ তারা অনেকটাই ক্লান্ত, তবুও আশা ছাড়েননি। একের পর এক দল বদল করেও ঘর না পেয়ে, আজ তারা দিশেহারা। তবে নেতাদের কাছে গেলেই মেলে আশ্বাস।
আরও পড়ুন: বড় খবর! বন্দে ভারতের সুরক্ষায় এবার বিশেষ উদ্যোগ, কী করা হবে এবার?
ভোট আসে ভোট যায় তবে কোনক্রমে থাকা ভাঙ্গা ঘরের অবস্থার বদল ঘটে না। এদিন এ রকমই কিছু মানুষ দেখা গেল হাবরা এক নম্বর বিডিও অফিসে সিপিএমের ডেপুটেশনে। মহিলা, পুরুষ এলাকার সকলেরই প্রায় একই কথা বলছেন। ঘর পাওয়ার জন্য একের পর এক দল বদল করছেন তারা, তবু পাননি আবাস যোজনার ঘর। রাজনীতির উর্ধ্বে এখন কোন জাদু শক্তিই তাদের ঘর দিতে পারে, এমনটাই নিজের মনকে বুঝিয়ে ফেলেছেন বহু অসহায় সাধারণ নাগরিক।