সংসদকে সামনে পেয়েই দূর থেকে অভিযোগ জুড়ে দেন হাসপাতালে আসা রোগীর পরিবারের সদস্যরা। ক্ষোভের সুর ধরা পড়ে তাদের গলায়। যদিও হাসপাতালে মশার উপদ্রবের কথা, অস্বীকার করেছেন হাসপাতাল পরিষ্কারের দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীরা। তারা জানান, সকাল বিকেল মশা মারার জন্য তেলসহ বিভিন্নভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হচ্ছে হাসপাতাল চত্বর। তবুও মশার উপদ্রব হচ্ছে হাসপাতালে। যার নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে নেই। এদিন হাসপাতালে রোগীর পরিবারদের করা অভিযোগের পরেই, বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন সাংসদ ডঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নতুন প্রজন্মের দাবি মেনে এবার অশোকনগরেও বসছে 'আই লাভ সেলফি' জোন
তিনি জানান, মশা এমন একটা জিনিস যা, কোনও নির্দিষ্ট জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকে না। সর্বত্রই রয়েছে এই মশার উপদ্রব। তবে হাসপাতালের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে যথাসম্ভব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার। অতিবৃষ্টি ও সচেতনতার অভাবে কিছু ক্ষেত্রে মশার উপদ্রব হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে মানুষকেই সচেতন হতে হবে তবেই করা যাবে ডেঙ্গুর নিয়ন্ত্রণ। প্রসঙ্গত, রাজ্যের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ডেঙ্গুর আতঙ্ক ভয় ধরিয়েছে জেলা প্রশাসনের। ইতিমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় ঘটেছে জেলায়। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে, জেলা সদর হাসপাতালে মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে, রোগীরা সুস্থ হওয়ার বদলে আরও অসুস্থ হয়ে যাবে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন রোগীর আত্মীয়রা।
আরও পড়ুনঃ মানবিকতার নজির! ক্যান্সার আক্রান্ত হোম গার্ডের পাশে দাঁড়াল বারাসত ট্রাফিক গার্ড
চলতি মাসেই চালু হচ্ছে বারাসত মেডিকেল কলেজের ক্লাস। নতুন মেডিকেল ছাত্র-ছাত্রীরা অনেকেই ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশোনা করবেন। সেক্ষেত্রে এ ধরনের মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে সমস্যায় পড়তে হবে তাদেরও। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর পরিবারের সদস্যদের রাত জেগে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয় হাসপাতালে। মশার কামড়ে ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকছে তাদেরও। মশার উপদ্রব দমন করতে এখন কি পদক্ষেপ নেয় বারাসত জেলা সদর হাসপাতাল সহ প্রশাসন এখন সেটাই দেখার।
Rudra Narayan Roy