নিত্যদিন কয়েক হাজার মানুষ এই সাঁকো ব্যবহার করে, স্কুল, কলেজ, হাটে সবজি নিয়ে যাতায়াত করেন৷ এলাকার বেশিরভাগ মানুষই কৃষি নির্ভর হওয়ায়, প্রয়োজনে গ্রাম থেকে হেলেঞ্চা যেতে ব্যবহার করতে হয় এই সেতুই। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারাই নিজেরা চাঁদা তুলে তৈরি করেছেন এই বাঁশের সাঁকো। পরবর্তী সময়ে প্রায় প্রতি বছরই নিজেরা টাকা খরচ করে করে সাঁকোর মেরামতি করেন গ্রামবাসীরা। তবে গত কয়েক মাস ধরে সেতুটি পারাপারের অযোগ্য হয়ে উঠেছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পুজোর আগেই নিউটাউনে কাজ শুরু করতে চলেছে উইপ্রো
ভেঙে পড়েছে সেতুর অংশ। দীর্ঘ প্রায় কুড়ি বছর এই ভাবেই যাতায়াত করছে নদীর দুপাশের গ্রামের মানুষ। ভোট আসলেই মেলে প্রতিশ্রুতি। তবে সময় পার হয়ে গেলেই ভুলে যায় সবাই। বাসের সাঁকো পারাপার হতে গিয়ে ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। এই সমস্যা সমাধানের আবেদন প্রশাসনকে জানিয়েও কোন ফল না হওয়ায়, এদিন সেতুর সামনেই গ্রামবাসী থেকে শুরু করে পড়ুয়ারা বিক্ষোভে শামিল হলেন।
আরও পড়ুনঃ নিজের খরচে অস্ত্রোপচারের সামগ্রী কিনে জটিল অপারেশন দন্ত চিকিৎসকের
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে নিজেরাই পয়সা দিয়ে কোদালিয়া নদীর উপরের বাঁশের সাঁকোটি তৈরি ও মেরামত করে চলেছেন তারা৷ অভিযোগ তাদের সমস্যার কথা ভাবেন না কোন প্রশাসনই। অবিলম্বে পাকা সেতু নির্মাণ ও আপাতত বাঁশের সাঁকো মেরামতির দাবী জানান গ্রামবাসীরা। তবে কবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে, এখন তার দিকেই তাকিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ।
Rudra Narayan Roy