ভিটে হারিয়ে অসহায় পবন কুমার পাল জানান, ২০১২ সালে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্য তপন কুমার মল্লিক তাঁকে পৈত্রিক বাড়ি থেকে বের করে দেন। এরপর যখনই পৈত্রিক বাড়িতে ফিরতে চেয়েছেন শাসকদলের ওই নেতা নিজের ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে তা আটকে দিয়েছেন। এমনকি হুমকির পাশাপাশি মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ পবনবাবুর। প্রসঙ্গত, ২০০৩ সাল নাগাদ পবন কুমার পালের বাবার কাছ থেকে দশ হাজার টাকার বিনিময় একটি দোকান ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন তপন মল্লিক। পরে সেই টাকার বিনিময়ে পবন কুমার পালের পৈত্রিক সম্পত্তি নিজের বলে দাবি করতে থাকেন শাসকদলের ওই নেতা। এরপরই নিজের ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে ভিটে ছাড়া করেন ওই ব্যক্তিকে।
advertisement
আরও পড়ুন: ট্রমা কেয়ার সেন্টার হতে চলেছে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে
নানান জায়গায় ঘুরেও কাজ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত নিজের পৈত্রিক বাড়ি ফিরে পেতে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের দ্বারস্থ হলেন পবন কুমার পাল। এদিকে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নয় গ্রামের মানুষ। তাঁরা কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন। যদিও অভিযুক্ত তপন কুমার মল্লিকের দাবি, তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এই অভিযোগ করা হচ্ছে। তাঁর কাছ থেকে জমির জন্য টাকা নিয়েছিলেন পবন কুমার পালের বাবা। সেই জমিই তিনি দখল করেছেন বলে শাসকদলের ওই পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি। রাজনৈতিক উদ্যেশ্য তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন।
এদিকে নীলগঞ্জ ইছাপুর পঞ্চায়েতের প্রধান নরেন্দ্রনাথ দত্ত জানান, তাঁর কাছে এরকম কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। যদি অভিযোগ আসে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। গোটা বিষয় নিয়ে শাসক দলকে আক্রমণ করছে বিরোধীরাও।
রুদ্রনারায়ণ রায়