ভারতীয় হয়েও কাঁটাতারের মধ্যবর্তী নো-ম্যান্স ল্যান্ডে বাধা তাদের জীবন। প্রতি সময় সহ্য করতে হয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর চোখ রাঙানি। আর এবার সেই গ্রামেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে প্রচার সারতে দেখা গেল চার নম্বর জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী শুভজিৎ দাসকে। এদিন সীমান্তে বসবাসকারী কাঁটাতারের ওপারের মানুষদের কাছে গিয়েছিলেন শাসক দলের এই প্রার্থী।
advertisement
জেলা পরিষদের প্রার্থীকে কাছে পেয়ে বিভিন্ন সমস্যার কথা জানালেন ওই গ্রামের বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, তারা ভারতীয় নাগরিক ভারতীয় ভূখণ্ডেই বসবাস করেন। তবুও তাদের জীবন যাপনের ক্ষেত্রে নিজস্ব কোন স্বাধীনতা নেই। সীমান্তে সুরক্ষার জন্য কাঁটাতার ওই গ্রামে আগেই দেওয়া রয়েছে, আর তার জেরেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। স্থানীয়দের কথায়, কাঁটাতার টপকে তাদেরকে বিভিন্ন কাজের জন্য যেতে হয়। হাট বাজার থেকে সব কিছুই কাঁটাতারের এ পারে। সেক্ষেত্রে কাঁটাতার টপকে হাট বাজারে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার ক্ষেত্রে বিএসএফের কড়া নজরদারির মধ্য দিয়ে তাঁদের চলতে হয়।
আরও পড়ুন: আলু তো সবজির ‘রাজা’…! কিন্তু জানেন কি সবজির ‘রানী’ কে? এই ‘নাম’ শুনলে চমকে যাবেন!
আরও পড়ুন: মাসে মাসে ৩০০০ পাবেন বাংলার মহিলারা? লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ‘সত্যি’ নিয়ে মুখ খুললেন মমতা
এদিন প্রচার শেষে প্রার্থী শুভজিৎ দাস জানান, জয়ন্তীপুর গ্রামের ওই এলাকার বাসিন্দারা তাদের জীবন যাপনের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে সে বিষয়ে নানান ধরনের অভিযোগ আমার কাছে তুলে ধরেছেন। নির্বাচনের কাজ মিটলে আমি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তাদের সমস্যার সুরাহার ব্যবস্থা করা যায় কিনা সে বিষয়ে আলোচনায় বসব। ভোট আসে ভোট যায় তবে অবস্থার বদল ঘটে না প্রান্তিক এলাকার এই মানুষদের। এভাবেই দু দেশের বুক চিরে বসবাস করা গ্রামবাসীদের নেই নিজস্ব কোন স্বাধীনতা। আদৌ কি বদলাবে কোনওদিন তাদের এই অবস্থার ছবিটা? সেটাই এখন দেখার।
রুদ্র নারায়ণ রায়