পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই ব্যাক্তির যে সন্ধান দিতে পারবে তার পরিচয় ঠিকানা গোপন রেখেই ব্যারাকপুর কমিশনারেট তাকে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেবে। যে ব্যক্তির ছবি দিয়ে এই প্রচার চালানো হচ্ছে, সে এলাকায় জঙ্গল পরিষ্কার এবং নারকেল গাছ পরিষ্কার করার নাম করে ঘুরে বেড়ায় এবং কোন গৃহস্থের বাড়ি ঢুকে অবস্থা বুঝে লুঠপাট চালায়। এমনকি তার এই লুঠপাট চালানোর সময় কেউ যদি বাধা হয়ে দাঁড়ান, তাঁকে আঘাতও করে।
advertisement
আরও পড়ুন : ইমিউনিটি বাড়াতে জুড়িহীন! এই শাক চাষে উৎসাহ বাড়াতে উদ্যোগ কৃষি দফতরের
সাম্প্রতিক এমন ঘটনার সাক্ষী নিমতা থানার অন্তর্গত শিবাচল এলাকার মানুষ। ওই এলাকায় এক বাড়িতে ঢুকে বৃদ্ধা মহিলার মাথায় আঘাত করে তাঁর হাতের সোনার বালা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতী। হাতে থাকা ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে বলেও জানান আক্রান্ত হওয়া বৃদ্ধা। শিবাচল এলাকার ওই বৃদ্ধা বর্তমানে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন বলে জানা যায়। কিছুদিন আগে নাগেরবাজার এলাকায়ও একই ঘটনা ঘটে। সেক্ষেত্রে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন : স্কুলের দরজা খোলা থেকে মিড ডে মিলের দেখভাল, অবসরের পরও রোজ বিনা পারিশ্রমিকে পড়াতে আসেন এই শিক্ষক
নাগেরবাজার এবং শিবাচলের ঘটনার পেছনে একই ব্যক্তি রয়েছে বলে পুলিশের ধারণা। এর পরই ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় ওই দুষ্কৃতীর বিবরণ দিয়ে পুরস্কার ঘোষণার প্রচার চালানো হচ্ছে। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির শরীরের বর্ণনায় বলা হয়েছে উচ্চতা পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি, মাতৃভাষা বাংলা, রোগা, কপাল চওড়া, গায়ের রঙ শ্যামলা। কেউ সন্ধান পেলে তিনটি ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে নিমতা থানার তরফ থেকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। এই প্রচারের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকেও সন্ধান চালানো হচ্ছে। যেভাবেই হোক এখন এই দুষ্কৃতীকে ধরে, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক কমাতে মরিয়া পুলিশ।