লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পে টাকা পাচ্ছেন বাংলার মহিলারা। অপরদিকে, কন্যাশ্রী প্রকল্পেও ছাত্রীরা পারছেন নানা সুবিধা। তবে এক্ষেত্রে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বা কন্যাশ্রী নামের জন্যই চিপসের চাহিদা অনেক বেশি বলে মনে করছেন দোকানদারা। পিছিয়ে থাকলেও তালিকায় রয়েছে খেলা হবে চিপসও। অনেক দোকানে আবার খেলা হবে চিপস পরে থাকলেও, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও কন্যাশ্রী চিপস নেই বলেই জানালেন দোকানদাররা। বাচ্চা থেকে বড় সবাই কিনছে এই চিপস। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী চিপস মার্কেট কাঁপাবে বলেই মনে করছেন দোকানদার থেকে শাসক দলের কর্মীরাও।
advertisement
আরও পড়ুন - Weather Alert: ঝড়ের গতিতে হাওয়া, সঙ্গী ঝমঝম করে বৃষ্টি, আবহাওয়ার নাস্তানাবুদ জারি
'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার', 'কন্যাশ্রী' প্রকল্প ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের একটি জনপ্রিয় প্রকল্পে রূপান্তরিত হয়েছে। রাজ্যের মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে টাকা। সেই পপুলারিটি কে কাজে লাগিয়েই বাড়তি আয়ের আশায় এহেন চিপস এর নামকরণ করা হয়েছে বলেই ধারণা দোকানদারদের। দত্তপুকুর, আমডাঙ্গা, দিগরা মালিকবেরিয়া, দেগঙ্গা, গাইঘাটা সহ জেলার নানা প্রান্তে দেদার বিকোচ্ছে এই চিপস। আকর্ষণ বাড়ানোর জন্যই, প্যাকেটের ভিতর থাকছে গিফটও।
আরও পড়ুন - Healthy Lifestyle Tips: হলুদ ছোপওয়ালা দাঁত, ঘরোয়া টোটকায় মাত্র ২ মিনিটেই হবে কামাল
বিধানসভা নির্বাচনে 'খেলা হবে' স্লোগান রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছিল। তাই লক্ষীর ভান্ডার এর পাশাপাশি খেলা হবে স্লোগানের চিপসও মার্কেটে আনা হয়েছে, তবে তার চাহিদা এখন অনেকটাই কম। বাজার কাঁপাচ্ছে লক্ষ্মীর ভান্ডার এবং কন্যাশ্রী চিপস-ই। দোকানদার প্রদ্যুৎ সাহা জানালেন, 'নামের পাশাপাশি উপহারের লোভে মানুষ এই চিপস কিনছে। ভালোই চলছে বিক্রি।' ক্রেতা লিটন পাল এর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, 'বাড়িতে বৌ, বাচ্চা রয়েছে। এই প্রকল্পের নাম শুনেই তারা চিপস খাওয়ার বায়না ধরছে। চিপস এর মধ্যে মিলছে উপহার। উপহারের লোভেই প্রতিদিন আবদার করছে চিপস নিয়ে আসার।
'এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, খাবারের প্যাকেট এর ওপর প্রকল্পের এই নামকরণের মধ্যে দিয়ে, সরকার না চাইলেও প্রচার মিলছে লক্ষীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী প্রকল্পের। পাঁচ টাকাতেই মানুষের কাছে আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়ছে লক্ষীর ভান্ডার, কন্যাশ্রীর প্রচার।
Rudra Narayan Roy