পর্যটনকে আরও আধুনিকরণ ও উন্নত করতে এগিয়ে এসেছে রাজ্য সরকারও। ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুন্দরবন সফরে এসে সুন্দরবনকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে আরও বেশি সুন্দর করে সাজাতে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: শালুগড়ার ইওয়াম মঠে ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের! আপনিও তরীবাড়ির এই বৌদ্ধ গুম্ফা থেকে ঘুরে আসতে পারেন
advertisement
এবার বাস্তবরূপ দিতে রাজ্য পর্যটন কেন্দ্রের সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, উত্তর ২৪ পরগনার জেলা শাসক শরৎকুমার দ্বিবেদী, উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলা শাসক প্রীতি গোয়েল, বসিরহাটের দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন টাকি পর্যটনের বিভিন্ন জায়গাগুলো খতিয়ে দেখেন। তার মধ্যে মিনি সুন্দরবনের পাশাপাশি ইছামতি নদীর ঘাট লাগোয়া প্রাচীন রাজবাড়ী ঘুরে দেখেন।
আরও পড়ুন: রাতারাতি ঘুরে গেল জীবনের মোড়! অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী থেকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি
উল্লেখ্য ৮ অগাস্ট নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দিয়েছিলেন কোথায় কোথায় সরকারি জমি আছে এবং উদ্ধার হয়েছে কিনা? সরকারি জমি কেন বেদখল হয়ে যাচ্ছে এই নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তারপর কয়েকদিনের মধ্যে রিপোর্ট চেয়েছিলেন। সেই নির্দেশ মেনে পর্যটন দপ্তরের আধিকারিকরা এদিন টাকিতে সরজমিনে সরকারি খাস জমি দেখতে এসেছেন।
আর সেখানেই নতুন করে টাকিতে একটা পর্যটনের প্রজেক্ট তৈরি করার কথা বললেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী গত বছরে সুন্দরবন সফরে এসে টাকিকে নতুন পর্যটনের ডেস্টিনেশনের কথা বলেছিলেন। আরও বেশি উন্নয়ন করতে সেই কথা মেনে আমরা সবাই মিলে সরেজমিনে সুন্দরবন-সহ রাজবাড়ী একাধিক জায়গা ঘুরে দেখেছি। তার একটা প্রজেক্ট তৈরি হয়েছে, খুব শিগগিরই সেই কাজ শুরু হবে।”
জুলফিকার মোল্যা