আর এই অমূল্য সম্পদ উদ্ধারের পিছনে বিশেষ ভূমিকা পালন করলেন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল অ্যান্ড অফিসিয়াল ট্রাস্টি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, হাইকোর্ট ও বিশেষ এই দপ্তরের সহযোগিতায় একটি মিউজিয়াম তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। আর তাই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে নানা ঐতিহাসিক নিদর্শন, প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিসপত্র সহ অ্যান্টিক জিনিসের একত্রীকরণের কাজ চলছিল। সেই সূত্র ধরেই কয়েকদিন আগে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান চন্দ্রকেতুগড়ে আসেন বিশেষ ওই দল।
advertisement
আরও পড়ুন - Poush Sankranti: বাঙালির পিঠে-পুলি খেতে ও খাওয়াতে ভালবাসেন! জেনে নিন পৌষ সংক্রান্তির না জানা গল্প
সেখানেই স্থানীয় মানুষদের সাথে কথা বলে তারা জানতে পারেন, চন্দ্রকেতুগড়ে খননের সময় মাটির তলা থেকে বেরিয়ে আসা প্রাচীন নানা জিনিস এখানকার স্থানীয় মানুষ নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছেন। এরকমই একজনের নাম তাদের কাছে উঠে আসে। এরপরই খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হয় এলাকায়। সে ক্ষেত্রে পুলিশেরও সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়। এরপরই ঘটনার সত্যতা যাচাই করে রীতিমতো জাল বিস্তার করা হয়। নির্দিষ্ট ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে এরপর অ্যান্টিক জিনিস কেনার টোপ দেওয়া হয় হাতেনাতে ধরতে। যাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ না হয় তার জন্য ওই আধিকারিকের সঙ্গে দফতরের এক মহিলাকে তার স্ত্রী ও অপর একজনকে শ্যালিকা বানিয়ে প্রাচীন মূল্যবান প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিস উদ্ধারের অপারেশনে নামে হয়।
আরও পড়ুন - সৈকতে আছড়ে পড়েছে পুণ্যার্থীদের ভিড়, গঙ্গাসাগর যেন জন সমুদ্র
এই গোটা অপারেশনের পিছনে কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার থেকে শুরু করে জেলা পুলিশ সুপার সকলেই ছিলেন বলেও জানানো হয়। অবশেষে মেলে সাফল্য। দেগঙ্গা এলাকার আরশাদুজ্জামান বলে জনৈক এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, প্রাচীন নানা কারুকার্য থেকে শুরু করে হাতির দাঁত ফসিলসহ প্রায় কয়েক আনুমানিক কয়েক কোটি টাকার সামগ্রী উদ্ধার হয়। আইন মেনে প্রাচীন ওই জিনিস গুলি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। ঘটনায় এলাকায় রীতিমতো ছড়িয়ে পরে চাঞ্চল্য।
Rudra Narayan Roy